উন্নয়ন ও নগরায়নের অর্থ হলো প্রকৃতির সাথে সমন্বয় সাধন : সুজন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ভূপ্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রাচুর্যময় বৈচিত্র্যের সমন্বয়ে চট্টগ্রামকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন নগরীরূপে গড়ে তোলার পরিকল্পনা প্রণয়নে নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরী প্রকৃতির আশীর্বাদ। পাহাড়-নদী-সমুদ্রবেষ্টিত এমন নান্দনিক নগর পৃথিবীতে বিরল। অথচ প্রকৃতির এ দান আমরা একাজে লাগাতে পারিনি। বরং এই নান্দনিক প্রাচুর্য ধ্বংস করেছি, নদীদখল করেছি, পাহাড় কেটে সৌন্দর্যের অঙ্গহানি করেছি। মনে রাখতে হবে, উন্নয়ন বা নগরায়ন মানে শুধু ইট-পাথরের ইমারত নয়। উন্নয়ন ও নগরায়নের অর্থ হলো সবুজায়ন ও প্রকৃতির সাথে সমন্বয় সাধন করে চলা।

গতকাল সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে বিশিষ্ট স্থপতি আশিক ইমরান তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রশাসক এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ুদূষণ বিপজ্জনকভাবে অশনি সংকেত দিচ্ছে। প্রকৃতি-পরিবেশ ও প্রাণীকূলের সাথে সমন্বয় ও সহাবস্থানই আমাদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার পূর্বশর্ত। চট্টগ্রামের ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও প্রাচুর্য সুরক্ষা করে একটি অত্যাধুনিক পরিবেশবান্ধব নগরী গড়ার মহাপরিকল্পনা সময়ের দাবি। চট্টগ্রাম যেহেতু বন্দরনগরী, এর অনেক-অনেক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা পর্যটনখাতে। পুরো নগরীকে পর্যটনস্পট হিসেবে গড়ে তুলতে যে উপাদানগুলো আছে, তার সদ্ব্যবহার সম্ভব হলে পর্যটনখাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার আয়ের উৎস সৃষ্টি হবে। তিনি মেরিন ড্রাইভ সড়কসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে, পর্যটনস্পটে কটেজ ও মোটেল স্থাপনের কথাও বলেন। সুজন বলেন, ফয়’স লেক থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত বার্ডফিডিং বানানো হবে।

তিনি নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে নকশা প্রণয়নের আহ্বান জানালে স্থপতি আশিক ইমরান প্রশাসকের বক্তব্য ও নকশা প্রণয়নে সহমত পোষণ করে বলেন, যেখানে যেখানে সৌন্দর্যবর্ধন করা যায়, সেজন্য উপযোগী নকশা প্রণয়নের কাজটি করার দায়িত্ব আমরা পালন করতে পারি। এছাড়া নতুন খেলাধুলার মাঠ তৈরি এবং এখন যেগুলো আছে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। তিনি বলেন, সবুজায়নের জন্য বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি বৃক্ষনিধন বন্ধ করার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে।

এ সময় চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি  এ কে এম রেজাউল করিম, স্থপতি  আবদুল্লাহ আল ওমর, স্থপতি নাজমুল লতিফ সোহাইল, স্থপতি  আসাদুজ্জামান চৌধুরী  উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি