‘আর কখনো সাহায্য নয় আফ্রিদিকে’

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
গত এপ্রিলে পড়শি দেশের ক্রিকেটার বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন তিনি। লকডাউনে দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে শাহিদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশনকে অর্থসাহায্য করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন যুবরাজ সিং। আর যুবরাজের অর্থদানেই খাদ্যসামগ্রী কিনে সম্প্রতি স্থানীয় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে গিয়ে গরিব দুঃস্থ মানুষদের হাতে তা তুলে দিয়েছিলেন প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডার। ঘটনায় শিরোনামেও এসেছিলেন তিনি।
কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই আফ্রিদির প্রতি নিজের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন ছয় ছক্কার নায়ক। যুবরাজ সাফ জানিয়ে দিলেন, আর কখনও সাহায্য করবেন আফ্রিদি কিংবা তার ফাউন্ডেশনকে। সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন শাহিদ। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই পালটা আক্রমণের পথে হেঁটেই তাকে জবাব ফিরিয়ে দিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। ঘটনায় মৌন থাকলেন না যুবরাজও।
মোদিকে মৌখিক আক্রমণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইটারে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন যুবরাজ। যুবি লিখেছেন, ‘আমি কোনওভাবেই ওর বক্তব্য মেনে নেব না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে শাহিদ আফ্রিদি তোমার কথায় আমি ভীষণ হতাশ। আমি ভারতবর্ষের হয়ে খেলার মাঠে প্রতিনিধিত্ব করেছি। তাই আমার পক্ষে তোমার বক্তব্য মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। মানবতার খাতিরে আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম। কিন্তু আর নয়।’
সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোনও এক জায়গায় সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন আফ্রিদি। ভাষণে তিনি বলছেন, ‘গোটা বিশ্ব বর্তমানে মারণ এক ব্যধিতে আক্রান্ত। তবে আমার মনে হয় তার চেয়েও বড় অসুখ রয়েছে মোদীর মনে। সেটা হল ধর্মের অসুখ। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে চলেছেন উনি। আমাদের ২ কিলোমিটার অঞ্চলের মধ্যে যে সকল কাশ্মীরি ভাই-বোন এবং প্রিয়জনেরা আছেন, তাদের উপরে উনি নানাভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে। যার জবাব মোদিকে মৃত্যুর পরে গিয়েও দিতে হবে।’
স্বাভাবিক ভাবেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আফ্রিদির আক্রমণের বিষয়টি ভালোভাবে গ্রহণ করেননি গম্ভীর। তিনি আফ্রিদিকে পালটা দিয়ে বলেছেন, ‘পাকিস্তানের ৭ লক্ষ সেনা আছে যাদের পিছনে ২০ কোটি পাকিস্তানির সমর্থন রয়েছে, ১৬ বছরের আফ্রিদির দাবি তেমনটাই। অথচ ৭০ বছর ধরে ওরা কাশ্মীরের জন্য ভিক্ষে চেয়ে আসছে। আফ্রিদি, ইমরান, বাজওয়ার মতো জোকাররাই ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি’র বিরুদ্ধে কানে বিষ ঢেলে পাকিস্তানিদের বোকা বানাতে পারে। তবে জাজমেন্ট ডে’র আগে অবধি ওরা কাশ্মীর হাতে পাবে না। বাংলাদেশের কথা মনে আছে?’
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।