অর্থ সংকটে বন্ধ হচ্ছে করোনা আইসোলেশন সেন্টার

করোনা আইসোলেশন সেন্টারের উদ্যোক্তারা- সুপ্রভাত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনা রোগীদের জন্য ব্যবহৃত আরো একটি আইসোলেশন সেন্টার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নগরীর পোর্ট কানেকটিং রোডে করোনা আইসোলেশন সেন্টার চিটাগাং নামে গত ১৩ জুন থেকে চালু হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত ৭২০ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়। কিন্তু জায়গা ও অর্থের অভাবে বন্ধ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে এই আইসোলেশন সেন্টারটি। এর আগে অর্থ ও রোগীর অভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতাল। অপরদিকে রোগী না থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের করোনা আইসোলেশন সেন্টারটি।
আইসোলেশন সেন্টারটি বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়েছেন সেন্টারটির প্রধান সমন্বয়ক নুরুল আজিম রনি। আগামী ১৫ সেপ্টেস্বর থেকে এটি বন্ধ হচ্ছে। এটি পরিচালনা করতে মাসে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হলেও এখন করোনা রোগী কমে যাওয়ায় পর্যাপ্ত ফান্ড পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। অপরদিকে কমিউনিটি সেন্টারটির মালিকও তা চালু করতে চাচ্ছেন। এতে রোগী ভর্তি থাকার পরও তা বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।
এবিষয়ে কথা হয় আইসোলেশন সেন্টারের সমন্বয়ক মিজানুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন,‘ যেসব রোগী রয়েছে আমরা ১৩ সেপ্টেম্বর তাদের নমুনা পরীক্ষা করাবো। ১৪ সেপ্টেম্বর যাদের নেগেটিভ আসবে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে। বাকি রোগীদের আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দিবো।’
কিন্তু অন্যান্য আইসোলেশন সেন্টারে রোগীর সংখ্যা কমে গেলেও এই আইসোলেশন সেন্টারে রোগীর পরিমাণ তেমন একটা কমেনি। এপর্যন্ত ৭২০ জন রোগীকে সুস্থ করার পাশাপাশি এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে ১০ জন রোগী। এখান থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় যাওয়া মামুন হোসাইন নামের একজন রোগী বলেন, আমি প্রথমে এই আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলাম। পরে অবস্থা খারাপ হওয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হই। বেসরকারি হাসপাতালে খরচ বেশি হওয়ায় ঝুঁকিমুক্ত হওয়ার পর আবারো এখানে এসে ভর্তি হয়। রোগীদের থাকা, খাওয়া ও ওষুধ ফ্রি সরবরাহ করা হয় বলে রোগীদের অন্যতম পছন্দ এই আইসোলেশন সেন্টারটি।
এদিকে শুরু থেকেই এখানকার স্বেচ্ছাসেবকরা রোগীদের চিকিৎসায় তৎপর ছিলেন। ৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক এই আইসোলেশন সেন্টারে কাজ করলেও শিফটিংয়ে ৩০ জন করে কাজ করতেন। এছাড়া ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয় রয়েছেন। সব মিলিয়ে এখানকার চিকিৎসাসেবা অন্যতম আশাব্যঞ্জক ছিল। ফিল্ড হাসপাতাল রোগীর অভাবে বন্ধ হলেও এই আইসোলেশন সেন্টারের ক্ষেত্রে তা হয়নি।