অতিথি পাখির আগমনে মুখর জলাশয়গুলো

অতিথি পাখির আগমনে দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে রাউজানের জলাশয়গুলো-সুপ্রভাত

প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের

শফিউল আলম, রাউজান :
শীতের শুরুতেই রাউজানে এসেছে নানা রং বর্ণের অতিথি পাখি। কুয়াশাঢাকা শীতের সকালে হাজারো অতিথি পাখির কোলাহলে মুখরিত এখন উপজেলার বড় বড় দিঘি জলাশয়। মনের সুখে দিঘির পানিতে এদিক সেদিক ছুটতে থাকা ভাসমান অতিথি পাখি জানান দিয়ে যাচ্ছে শীতের আগমনের। স্থানীয়রা জানিয়েছে শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে পাখির ঝাঁকের কিচিরমিচির শব্দে মানুষের ঘুম ভাঙে। গায়ে শীতের চাদর জড়িয়ে অনেকেই দিঘির পাড়ে যায় পাখির জলকেলির দৃশ্য উপভোগে। মনমুগ্ধকর এই দৃশ্য এখন উপভোগ করছেন উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের লষ্কর উজির দিঘি ও গহিরা ইউনিয়নের নসরত শাহ দিঘির কাছে থাকা মানুষ। এসব এলাকার লোকজন বলেছেন দিঘির পানিতে অতিথি পাখিগুলো জলকেলির ফাঁকে ফাঁকে আকাশে পানে উড়াল দেয়ার দৃশ্য সবার দৃষ্টিকাড়ে। পাখিগুলো মুক্ত ডানায় ভর করে পানির উপড়ে চক্কর দিয়ে বাতাসে গা ভাসিয়ে আবারও ফিরে আসে দিঘির জলে। এমন মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে এলাকার পাখি প্রেমিরা ছুটে প্রতিদিন সকালে হাজির হচ্ছে দিঘির পাড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, মাঝে মাঝে দুষ্ট শিশু কিশোরদের দল দিঘিতে ভাসমান পাখি লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়লেও সেই ঢিল বিশাল দিঘির কিনারাই থেকে যায়, ঢিলের কারণের পানির ঢেউ সৃষ্টি হলে ভাসমান পাখির ঝাঁক পাখা মেল কিচিরমিচির শব্দে উপড়ের দিকে চক্কর মেরে আবারো নেমে ডানাঝাপটে মেতে উঠে জলকেলিতে। পাখি প্রেমিদের মতে শীতের মৌসুমে এখানে আশ্রয়ে আসা অতিথি পাখির দল কিচিরমিটির শব্দে মানুষের মনে শিহরণ জাগায়। পাখির কলকাকলিতে ফুটে উঠে গ্রাম বাংলার প্রকৃতিক রূপ। প্রবীণ যারা এমন দৃশ্য দেখেন,তাদের চোখে ভেসে উঠে গ্রামীণ জনপদ থেকে হারিয়ে যাওয়া সেই মনোরম পরিবেশ।