সুপ্রভাত ডেস্ক »
বাংলাদেশের ৫০ বছর ও জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ পালন উপলক্ষে মুজিব বর্ষ উদযাপন পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র এর আয়োজনে ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার নিউইয়র্কের একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো মুজিব জন্মশত বার্ষিকীর শেষ অনুষ্ঠান ‘জনকের কথা কবিতা ও গান’।
মুজিব বর্ষ উদযাপন পরিষদ,যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বায়ক কবি মিশুক সেলিমের সভাপতিত্বে, লেখক ও সম্পাদক আবু সাইদ রতনের সঞ্চালনায় আয়েজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা।
জনকের কথা কবিতা গান উদযাপন পরিষদের আহ্ববায়ক ছড়াকার খালেদ সরফুদ্দীন এবং সদস্য সচিব আনোয়ার সেলিমের স্বাগত ভাষণ শেষে, শুরু হয় তিন ঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠান।এতে ছিল কবিতা, গান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আলোচনা।
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল নাজমুল হাসানও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। আলোচনায় অংশ নেন কবি ফকির ইলিয়াস,সাহিত্য সংগঠক মোশারফ হোসেন, অধ্যাপিকা হোসনে আরা বেগম,নীরা কাদরী, কামাল হোসেন মিঠু প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন শামস আল মমীন, হোসাইন কবির, কাজী আতিক, ডাঃ রওনক আফরোজ, ইশতিয়াক রুপু, ফারহানা ইলিয়াস তুলি,বেনজীর সিকদার,রিমি প্রমুখ।
প্রধান অতিথি জাতিসত্তার কবির মুহম্মদ নূরুল হুদাসহ দেশের গুনী কবিদের কবিতা আবৃত্তি করেন মিথুন আহমেদ, পারভীন সুলতানা, সাবিনা নিরু, তাহরিনা পারভীন প্রীতি এবং শুক্লা রায়।আরও আবৃত্তি করের দুজন শিশু আবৃত্তি শিল্পী তামান্না আহমদ শান্তি ও সাফওয়ান নাহিন। সঙ্গীত পরিবেশন করেন তাহমিনা শহীদ ও হাসান মাহমুদ।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতার জন্ম না হলে এই বাংলাদেশ হতো না। আমরা কেউই আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতাম না।
কবি ফকির ইলিয়াস ‘অভিবাসীদের সাহিত্য ও সংগ্রাম’ নিয়ে কথা বলেন। তিনি গেল প্রায় তিন দশকের উত্তর আমেরিকার সাহিত্য সাধনার না না দিক তুলে ধরেন। বিদেশে থেকেও অনেকেই বাংলাদেশের মূলধারায় উজ্জ্বলভাবে লিখছেন, সেকথা আবারও জানান দেন তিনি।
নিউইয়র্কের নানাস্তরে সুধী ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্বের উপস্থিতিতে জাতি সত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ভাষণ ও কবিতা পাঠ ছিল অত্যন্ত উপভোগ্য। সভাপতি তার সমাপনী ভাষণে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মানব দর্শনের সঠিক ব্যাখা পরবর্তী প্রজন্মের নিকট পৌছে দেবার প্রয়াসে প্রবাসের গুরুত্বপূর্ণ নগরীতে বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে রচিত বইয়ের পাঠাগার ও গবেষনা কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচলনা করা আজ সময়ের দাবী। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য সম্বলিত লেখা বই যা ১৯৭৫ সালের পর রচনা করা হয়েছে সেই সব বই ও পুস্তক নিষিদ্ধ করবার দাবী জানান।
♦ সংবাদটি আমেরিকা থেকে পাঠিয়েছেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ছড়াকার খালেদ সরফুদ্দীন।