সৈকত নগরী পেল শিরোপা

বিভাগীয় মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্ট

জয়ের নায়ক জাহাঙ্গীর

এ জেড এম হায়দার :
সৈকত নগরী কক্সবাজার জয় করেছে শিরোপা। এরমধ্যে দিয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলেই থেকে ে গেল ট্রফি। প্রাথমিক পর্ব থেকে স্বাগতিক চট্টগ্রাম ও সেমিফাইনাল থেকে বান্দরবান জেলার বিদায়ের পর কক্সবাজারই এ অঞ্চলের একমাত্র প্রতিনিধি। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে ফেভারিটের তকমা পাওয়া এ দলটি ফাইনালে জাহাঙ্গীরের একমাত্র গোলে অপর সেরা দল ফেনীকে পরাস্ত করে। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এস. আলম গ্রুপ বিভাগীয় মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা নির্ধারিত এ খেলা দ্বিতীয়ার্ধে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য ১৯ মিনিট বন্ধ ছিল। ২২ মিনিট পর পুনরায় মাঠে গড়ায়।
ফাইনালে উঠার আগে গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনালে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে দু’দলই ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে। কিন্তু গতকাল ফাইনালে তাদের সে ধারার ছিটেফোটাও ছিল না। স্নায়ুর চাপে থাকায় উভয়ে স্বাভাবিকভাবে খেলতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে এরমধ্যে আক্রমণের বিচারে কক্সবাজার অনেকটা এগিয়ে ছিল এবং সুযোগও বেশ কয়েকটি করতে সক্ষম হয়। গোল মিসের পরও শেষ পর্যন্ত জয় পেয়ে তাদের হাতেই উঠেছে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি।
খেলার ৪র্থ মিনিটে রাফু’র সেন্টারে সতীর্থরা পা ছোয়াতে না পারায় লিড নেয়া হয়নি কক্সবাজারের। দুই মিনিট পর আবারো সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। জয়নালের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে জাহাঙ্গীর ও সাগর বল জালে পাঠাতে পারেননি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে হাতিহাতি করার দায়ে কক্সবাজারের রিমন ও ফেনীর হামিমকে লালকার্ড পেয়ে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয়। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকে বামপ্রান্ত থেকে ফ্রি-কিক গোলমুখে এলে সাগর আবারো পা লাগাতে না পারায় তৃতীয় সুযোগ হাতছাড়া হয় মাসুদ আলমের দলের। ২৪ মিনিটে কর্নার থেকে গোলমুখে একেবারে ফাঁকায় থেকেও বদলি মিনহাজ বলে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন। অবশ্য ৫ মিনিট ব্যবধানে তাদের হতাশা কাটে। এবারে সাগরের ফ্রি কিকে বক্সে জটলা থেকে জাহাঙ্গীর নিপুন শটে জালের ঠিকানা খুঁজে পেয়ে সতীর্থসহ দলের কর্মকর্তা ও সমর্থকদের উল্লাসে মাতান। বাকি সময়ে আর সমতা আনার মত কোন সুযোগ পায়নি ফেনী জেলা। জাতীয় সংসদের হুইপ ও টুর্নামেন্টের আয়োজক বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামসুল হক চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে ট্রফিসহ নগদ এক লাখ ও ৫০ হাজার টাকা প্রাইজমানি দেয়া হয়। এছাড়া কক্সবাজরের জাহাঙ্গীরকে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও বান্দরবান জেলাকে ফেয়ার প্লে ট্রফি’র পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি ও টুর্নামেন্ট কমিটির কো-চেয়ারম্যান আলী আব্বাস। চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ভেন্যু পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও টুর্নামেন্ট কমিটির সম্পাদক নজরুল ইসলাম লেদু, সিজেকেএস যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সিডিএফএ সাধারণ সম্পাদক ও টুর্নামেন্ট কমিটির সমন্বয়কারী ওয়াহিদ দুলাল, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এস. আলম গ্রুপের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট হোসেন রানা, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র ও বান্দরবান জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. ইসলাম বেবি, ফেনী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার প্রমুখ।
এছাড়া সাবেক মেয়র ও চেট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরউদ্দীন, এস. আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম লাভু ও ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আকিজ উদ্দিন চৌধুরী বিশেষ অতিথি থাকবেন।
ফাইনালে উঠার আগে গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনালে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে দু’দলই ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে। এরমধ্যে সেমিফাইনালে তারা সহজ জয় পায়। কক্সবাজার ৪-০ গোলে চাঁদপুরকে এবং ফেনী ৩-১ গোলে বান্দরবান জেলার বিরুদ্ধে জয়লাভ করে। আজও একই ধারা অব্যাহত রেখে উভয়ের কোচ ও অধিনায়ক জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।