দোহাজারী-কক্সবাজার পথে ট্রেন চলবে আগামী বছরে

প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনে রেলপথমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
‘কক্সবাজারে যে ট্রেনগুলো থাকবে সেগুলো উন্নত ও আরামদায়ক হবে। ট্রেনগুলো হবে ট্যুরিস্টদের জন্য উপযোগী। সাগরপাড়েই এবার নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ট্রেন স্টেশন। কক্সবাজারের অংশে এগিয়ে যাচ্ছে রেললাইন নির্মাণকাজ।’
দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের নিকট গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ’ প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনের সময় কক্সবাজার শহরের কাছে আইকনিক স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণ স্থানে উপস্থিত সাংবাদিকদের রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন একথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার তিন দিনের সফরে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত থাকছে ৯টি রেলস্টেশন। স্টেশনগুলি হলো দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার। আগামী বছরের ১৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন চালু করা হবে।’
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, কক্সবাজার রেললাইন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এটির নির্ধারিত মেয়াদ ধরা আছে। করোনা এবং নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি কিছু স্থাপনার জমি পেতে সমস্যার কারণে কাজ বিলম্বিত হয়। কাজেই ছয় মাস পিছিয়ে আগামী বছরের ডিসেম্বরে একটি উদ্বোধনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, এ রেললাইন চালু হলে কক্সবাজারে পর্যটকদের ব্যাপকহারে আগমন ঘটবে। এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে।
আইকনিক স্টেশনের বিভিন্ন সুবিধার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এখানে যাত্রীরা এসে থাকতে পারবে, এমনকি তাদের মালামাল রাখার জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এটি ট্রান্সএশিয়ান রেললাইনের একটি অংশ। ভবিষ্যতে মিয়ানমার তাদের অংশ করলে গুনদুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হবে। চকরিয়া থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত নতুন ১৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মিত হবে বলে মন্ত্রী জানান। কক্সবাজারে বহুমুখী উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে এবং এখানকার অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে অনেক মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ দশটি মেগা প্রকল্পের মধ্যে একটি। রেলপথমন্ত্রী পরে নির্মাণাধীন রেললাইন পরিদর্শন করেন। ইতোমধ্যে প্রায় ৬ কিলোমিটার রেললাইন বসানো হয়েছে।