৪০ মেট্টিক টন ড্রাগন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

দীঘিনালা

নিজস্ব প্রতিনিধি, দীঘিনালা

দীঘিনালায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে ড্রাগন। স্বাদের ভিন্নতা এবং বিদেশি ফল হওয়ায় চাহিদাও বেশি। দীঘিনালায় প্রতি কেজি ড্রাগন ফল আকারের ভিন্নতা অনুযায়ী আড়াইশ থেকে তিনশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ১ হেক্টরে চাষ, তার মধ্যে উৎপাদন হয়েছে ৫ মেট্টিক টন। এবছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৫ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ মেট্টিক টন।

এ ব্যাপারে কথা হয়, দীঘিনালা উপজেলার সুধীর মেম্বার পাড়া গ্রামের রাসেল ত্রিপুরার (৩৪) সাথে। তিনি জানান, ২০১৫ সনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করার পর চাকরির পাশাপাশি ভিন্ন আঙ্গিকের ফলদ বাগান সৃজন করার পরিকল্পনা করেন। ২০২১ সনে প্রথম সাড়ে তিনশ ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করেন। পরে ২০২২ সনে রেড বেলবেট জাতের আরো দুই হাজার চারা রোপণ করেন।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে সাড়ে একর জমিজুড়ে পিঙ্করোজ-ভিয়েতনামী, রেড বেলবেট-ভিয়েতনামী হলুদ এবং সাদা জাতের ড্রাগন গাছ রয়েছে। এ বাগান সৃজনে মোট সাড়ে চার লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। গত বছর বাগান থেকে উৎপাদিত ড্রাগন ফল বিক্রি করে প্রায় এক লাখ টাকা আয় করেছেন। এবছর কমপক্ষে যাবতীয় খরচ বাদে আড়াই লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি হবে বলে আশা।

দীঘিনালা হটিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ মো. মাসুম ভূঁইয়া জানান, পাহাড়ের মাটি এবং আবহাওয়া ড্রাগন চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং লাভজনক ফল হওয়ায় দিন দিন চাষের দিকে ঝুঁকছেন স্থানীয় বাগান চাষিরা।