সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর সাজেকে যান চলাচল স্বাভাবিক

পাহাড় ধস

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি »

বুধবার সকালে দুর্গম এলাকায় সকালে যান চলাচল শুরু হতেই খবর মেলে, পাহাড়ধসে আটকে আছে প্রধান সড়ক। এ খবর জানার পর সকাল আটটা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সাড়ে ছয় ঘণ্টায় সেনাসদস্যদের চেষ্টায় ফের শুরু হয় পর্যটন উপত্যকা সাজেক সড়কে যান চলাচল। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে সাজেক থেকে ফিরতি প্রায় ২ হাজার এবং সাজেক যেতে রওনা হওয়া ৩ হাজার পর্যটক পুরো সময়টাই আটকে ছিলো দৃশ্যত নির্জন এই সড়কে। অবশ্য দুই পাশেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিরাপদ পাহারাতেই রাখেন।

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র সাজেকে মঙ্গলবার রাতের অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসে বুধবার সকাল থেকে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে অতি বৃষ্টির কারণে রাতে বা ভোরের যে কোন সময় সাজেকে যাওয়ার পথে শুকনা নন্দরাম পাড়া এলাকায় প্রধান সড়কের উপর একটি বড় পাহাড় ধসে পড়ে। যার কারণে বুধবার সকাল থেকে সাজেকে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার জানান, মঙ্গলবার রাতে প্রচুর বৃষ্টির কারণে সাজেকে যাওয়ার পথে শুকনা নন্দরাম পাড়া এলাকায় রাস্তার উপর একটি পাহাড়ের বেশ বড় অংশ ধসে পড়েছে। এতে কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। সেখানে কোন বসতি না থাকায় ঠিক কখন ধসে পড়েছে তা জানা যায়নি। সকালে সড়কটিতে যানচলাচল শুরু হলে তখনই জানা যায় পাহাড় ধসের বিষয়টি। তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনীর একটি টিম রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ শুরু করে এবং তাদের চেষ্টায় প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর যানচলাচল শুরু হয়।

পূজার ছুটির কারণে হাজারো পর্যটক ভিড় করেছিলো পাহাড়ি উপত্যকা সাজেকে। পাহাড় ধসের কারণে সাজেকগামী ও সাজেক ফেরা দুই দিকের পর্যটকরাই আটকে ছিলো, কয়েক ঘণ্টার জন্য। সাজেক থেকে ফিরতি গাড়িগুলো মাচালং এলাকায় এবং সাজেকগামী গাড়িগুলো বাঘাইহাট অবস্থান করেছিলো এই সময়।

সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন জানান, ‘সকালে বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। আমাদের সাজেক এলাকায় প্রায় ছোটবড় ১১২টি কটেজ আছে। সব মিলে প্রায় ৪ হাজার পর্যটক থাকতে পারেন। ছুটির কারণে বুকিং ছিলো সব কটেজেই। ফলে উপচে পড়া পর্যটকই আটকে ছিলো এই সময়টায়।’

প্রসঙ্গত, পর্যটন উপত্যকা সাজেক তার দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অবস্থানের জন্য বিখ্যাত এবং বাংলাদেশের পর্যটনের সাম্প্রতিক ক্রেজ।