জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী পালনোপলক্ষে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খতমে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শেখ কামাল নিরহঙ্কার, নির্লোভ রাজনৈতিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি একজন সৃজনশীল মানুষ হিসেবে তারুণ্যের দীপশিখায় সমাজকে আলোকিত করে গেছেন। আজ তিনি নেই কিন্তু তার শুদ্ধতম জীবনাচারণ অম্লান স্মৃতি হয়ে থাকবে। নতুন প্রজন্মকে তার সম্পর্কে জানতে হবে এবং নিজেদের পরিশুদ্ধ করতে হবে।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, শেখ কামাল একজন সর্বগুণে গুণান্বিত আলোকিত তরুণ ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সন্তান এটাই তার একমাত্র পরিচয় নয়। তিনি পূর্ব পাকিস্তান ক্রিকেট দলের পেশ বোলার ছিলেন। একই সাথে তিনি ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং মঞ্চাভিনেতা ছিলেন। তিনি বাফা থেকে প্রশিক্ষিত একজন উচ্চমানের সেতার বাদকও ছিলেন। তিনি আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তার মাধ্যমে আধুনিক ফুটবলের ক্রীড়ানপুণ্য সৃষ্টি করে গেছেন এবং দেশে অনেক গুণী ফুটবলের আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে। যা আজ দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও সুনাম অক্ষুন্ন রেখে চলেছে। তাই মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিজগুণে তিনি সৃষ্টিশীলতার বাতিঘরে পরিণত হয়েছিলেন। আজকের প্রজন্মকেও সঠিক লক্ষ্য নিয়ে সামনের দিকে এগুতে হবে।
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা শফর আলী, শেখ মো. ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, মাহবুবুল হক মিয়া, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, মো. আবু তাহের, শহীদুল আলম, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ, ড. নেছার উদ্দিন মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমেদ। মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন আলহাজ্ব মাওলানা ফজল আহমেদ। বিজ্ঞপ্তি
