লেলেঙ্গারায়  ঠিকাদার উধাও, দুর্ভোগ চরমে

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান :

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ৬ নং বিনাজুরী ইউনিয়নের লেলাঙ্গারা গ্রাম। লেলাঙ্গারা গ্রামের মধ্যে রয়েছে জোরপুকুর পাড়া জোড়া জামে মসজিদ, লেলাঙ্গারা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, বিনাজুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, লেলাঙ্গারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

লেলাঙ্গারা জোর পুকুর পাড় থেকে বিনাজুরী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পাশে রাউজান নোয়াপাড়া সড়ক সেকশন -১ পর্যন্ত পেতাগাজী চৌধুরী ও লেলাঙ্গারা সড়কটির উন্নয়ন কাজ না হওয়ায় এলাকার হাজার হাজার মানুষের চলাচলের দুভোর্গ লাঘব করতে রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সড়কটির উন্নয়ন কাজের টেন্ডার আহবান করলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পূর্বালী টের্ডাস ১ কোটি  ৭৭ হাজার ৮শত ৫০ টাকা ব্যয়ে সড়কের বিটুমিন কার্পেটিংয়ের কাজ নেয়।

গত ২০১৮ সালের ১১ জুলাই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুর্বালী টেডার্স সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করে। সড়কের মধ্যে বিছানো পুরাতন ইট তুলে ইটের খোয়া দিয়ে সড়কের ম্যাগাডামের কাজ করে সড়কের কিছু অংশ ।

সড়কের উন্নয়ন কাজ গত ২০১৯ সালের ৫ মার্চ শেষ করার সময়সীমা থাকলে ও ঠিকাদারী প্রতিষ্টান পুর্বালী টেডার্স সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ না করে উধাও হয়ে যায় । সড়কের উন্নয়ন কাজ না করে সড়কটি উন্নয়ন কাজ করার জন্য সড়কের মধ্যে ইটের খোয়া দিয়ে ম্যগাডাম ও গর্ত করে রেখে ঠিকাদার  উধা ও হয়ে যাওয়ার ২বৎসর অতিবাহিত হলে ও সড়কের উন্নয়ন কাজ করার কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ না করায় সড়ক দিয়ে চলাচলকারী এলাকার সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে।

এই প্রসঙ্গে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুর্বালী টের্ডাসের মালিক রবিন্দ্র লাল চৌধুরী বলেন, আমার ঠিকাদারী লাইসেন্স দিয়ে বিনাজুরী ইউনিয়নের মেম্বার কামরুল ইসলাম বাচ্চু সড়কের উন্নয়ন কাজ নিয়েছে। এই ব্যাপারে বিনাজুরী ইউনিয়নের মেম্বার কামরুল ইসলাম বাচ্চুর কাছে জানতে চাইলে, কামরুল ইসলাম বাচ্চু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক রবিন্দ্র লাল চৌধুরীর কাছে জিজ্ঞাসা করতে বলেন। এব্যাপারে রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে বলেন, সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ না করায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার কাজ শেষ করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে । ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ না করলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।