লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী নিহত

২ দলের গোলাগুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি »

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় আঞ্চলিক দুই দলের গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দুর্গম ছোট কাট্টলী নামক এলাকায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক (ফ্রন্ট ইউপিডিএফ) এর মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এলাকাটি দুর্গম হওয়ার কারণে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেশ সময় লাগে।

প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস্্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর সংগঠক অংগ্য মারমা দাবি করেন- ওই সংঘর্ষে শ্যামল চাকমা (৪৫) নামের তাদের এই কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার জন্য তিনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসকে দায়ী করছেন।

এ বিষয়ে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর লংগদু শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা জানান, আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। ছোট কাট্টলী এলাকায় কিছু সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে ঐ এলাকাটি ইউপিডিএফ এর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা। আমাদের কোন সশস্ত্র গ্রুপ নেই, সেখানে কি হয়েছে আমরা জানি না।’

লংগদু ইউনিয়নের ওই ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার সাধন কুমার চাকমা সকালে জানান, ‘রাতে গোলাগুলির শব্দ পেয়েছি। সকালে সেনাবাহিনীর একটি টহলদলের সাথে আমি ঘটনাস্থলে গেছি। সেখানে বন্দুকযুদ্ধের চিহ্ন ও রক্তের দাগ দেখা গেছে। কিন্তু কারো কোন মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রাও রাতে ওই এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির কথা জানিয়েছে। সেখানে প্রচুর গুলির খোসা পড়ে ছিলো।’

তবে লংগদু থানার ওসি (তদন্ত) মো. সানজিদ আহমেদ জানান, গোলাগুলির খবর রাতে শুনেছি। ঘটনাস্থল এতোই দুর্গমে রাতে আমাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব ছিল না। সকালে একটি টিম সেখানে গেছে। কিন্তু সেখানে কোন লাশ পাওয়া যায়নি।’

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাহমুদা বেগম জানিয়েছেন, যে স্থানে ঘটনার কথা বলা হয়েছে সেখানে বুধবার দুপুরের পর আইনশৃংখলা বাহিনী কোন লাশই পায়নি।’