রুদ্ধশ্বাস জয় পাকিস্তানের

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

জেতার জন্য সবরকম চেষ্টাই করলো আফগানিস্তান। শেষ ওভারে হলো মানকাডিংয়ের মতো ঘটনাও। কিন্তু পাকিস্তানকে বাগে পেয়েও হারাতে পারলো না আফগানরা। হাম্বানটোটায় গত বৃহস্পতিবার রাতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ১ উইকেট আর ১ বল হাতে রেখে হারিয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজও এক ওয়ানডে হাতে রেখে জিতে নিয়েছে বাবর আজমের দল। ৩০১ রানের বড় লক্ষ্য। শেষ ১২ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ২৭ রান, হাতে মাত্র ২ উইকেট। ম্যাচটা তখন আফগানদের দিকেই। ৪৯তম ওভারের শেষ দুই বলে আবদুল রহমানকে চার আর ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানের আশা জাগান শাদাব খান।
শেষ ওভারে তাই জয়ের জন্য দরকার পড়ে ১১। ফজলহক ফারুকির করবেন শেষ ওভারটি। এমন সময় নাটক। ফারুকি প্রথম বল ডেলিভারি দেয়ার আগেই ননস্ট্রাইক এন্ড ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন শাদাব। ফারুকি দেন স্টাম্প ভেঙে। মানকাডিং আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ৩৫ বলে ৪৮ করা শাদাবকে। পাকিস্তানের তখন জয়ের আশা বলতে গেলে শেষ। কে জানতো, নাটকের তখনও মূল অংশ বাকি! প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকান নাসিম। পরের দুই বলে নেন এক। ফলে শেষ তিন বলে লাগে ৬। হারিস রউফ ৩ নিয়ে স্ট্রাইক দেন নাসিমকে। তিনি সজোরে ব্যাট চালান, শর্ট থার্ডম্যান দিয়ে চার। আরও একবার নাসিমের ব্যাট হাতে ঝলকে জয় পাকিস্তানের। পাকিস্তান বড় রান তাড়ার ভিত পায় মূলত ইমাম উল হকের ৯০ আর বাবর আজমের ৫৩ রানে ভর করে। একটা সময় ৩ উইকেটেই ২০৮ ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু টানা কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। আফগানিস্তানের ফারুকি ৩টি আর মোহাম্মদ নবি নেন দুটি উইকেট।
এর আগে ওপেনিং জুটিতেই ২২৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় আফগানিস্তান। রহমানুল্লাহ গুরবাজ আর ইব্রাহিম জাদরানের এই জুটির পর ৫ উইকেটে ৩০০ রানের বড় পুঁজিই পেয়েছে আফগানরা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানকে মনে রাখার মতো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার গুরবাজ আর ইব্রাহিম। তাদের ২২৭ রানের জুটিটি দেশের দ্বিতীয় সেরা জুটি। আগের জুটিটিও ছিল তাদেরই। চলতি বছরের জুলাইয়ে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২৫৬ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছিলেন গুরবাজ আর ইব্রাহিম। হাম্বানটোটায় গুরবাজ-ইব্রাহিমের দুর্দান্ত জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন উসামা মীর। ৮০ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইব্রাহিম। তবে গুরবাজ সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি। বল সমান ১৫১ রানের ইনিংসে ১৪টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কা হাঁকান এই ওপেনার। এছাড়া মোহাম্মদ নবি ২৯ বলে ২৯ আর শেষদিকে নেমে অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদি ১১ বলে করেন অপরাজিত ১৫ রান। পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি ৫৮ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট নাসিম শাহ আর উসামা মীরের।