যুব এশিয়া কাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

জয়ের মূল নায়ক আশিকুর রহমান শিবলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরি

সুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »

স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে প্রথমবার যুব এশিয়া কাপ (অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট) জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো যুব টাইগাররা তাও আবার রেকর্ড গড়ে। যুব এশিয়া কাপ ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় জয়। আগেরটি ছিল আফগানিস্তানের, ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮৬ রানে জিতেছিল তারা।

এশিয়াকাপে এর আগের নয় আসরের আটটিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। এরমধ্যে একবার পাকিস্তানের সঙ্গে শিরোপা ভাগাভাগি করে তারা। অপর একটিতে চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তান। অন্যদিকে এই আসরে আটবার খেললেও তেমন কোনো সাফল্য ছিল না বাংলাদেশের। সর্বোচ্চ সাফল্য বলতে গেলে ২০১৯ সালে ফাইনাল খেলা। সেবার ফাইনালে ভারতের কাছে রানে হেরে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাদের।

এটি ছিল যুব এশিয়া কাপের দশম আসর। বাংলাদেশের জয়ের মূল নায়ক ছিলেন দারুণ ছন্দে থাকা ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি। করেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে জ্বলে ওঠে চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান আরিফুল ইসলামের ব্যাটও। দুইজনই পেয়েছেন ফিফটি। তাতে আমিরাতকে বড় লক্ষ্যই ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ। এরপর বল হাতে তিন পেসার মারুফ মৃধা, রহনত দৌল্লা বর্ষণ ইকবাল হোসেন ইমনের তোপে একশ রানও করতে পারেনি স্বাগতিকরা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৪ রানে ওপেনার জিসান আলমকে হারায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রানের জুটিতে দলকে শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে দারুণ ভিতে দাঁড় করিয়ে দেন আশিকুর রিজওয়ান।

আশিকুরের ১২৯ রানের সঙ্গে রিজওয়ান চৌধুরীর ৬০ আরিফুল ইসলামের ৫০ রানে উইকেটে ২৮২ রান তোলে বাংলাদেশ।

২৮৩ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে এদিন শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করেন বাংলাদেশের পেসাররা। এদিনও শুরুতে গর্জে ওঠেন আরিফ। আমিরাতের দুই ওপেনারকেই ছাঁটাই করেন এই পেসার। এরপর মঞ্চে আসেন বর্ষণ। মিডল অর্ডার ধসিয়ে দিয়ে টানা তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি। ফলে ৫০ রানের আগেই আমিরাতের অর্ধেক ব্যাটার সাজঘরে। এরপর ইমনও তুলে নেন দুটি উইকেট। তখন বাংলাদেশের জয় ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার।

কিন্তু বাংলাদেশের অপেক্ষা বাড়াতে থাকেন ধ্রুব পারাশার। এক প্রান্ত আগলে রেখে যুব টাইগারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিতে থাকেন এই ব্যাটার। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও অপর প্রান্তে ঠিকই উইকেট তুলে নিতে থাকেন যুব টাইগাররা। স্পিনার শেখ পারভেজ জীবন ২টি উইকেট তুলে লেজ ছাঁটাইয়ের কাজ করেন। আরিফও বোলিংয়ে ফিরে তুলে নেন নিজের তৃতীয় শিকার। তাতে বিশাল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৮২/ (আশিকুর ১২৯, রিজওয়ান ৬০, আরিফুল ৫০, মাহফুজুর ২১; আইমান /৫২, ওমিদ /৪১)

সংযুক্ত আরব আমিরাত : ২৪. ওভারে ৮৭ (পরাশর ২৫*, অক্ষত ১১; রোহানাত /২৬, মারুফ /২৯, পারভেজ /, ইকবাল /১৫)

ফল: বাংলাদেশ ১৯৫ রানে জয়ী।