যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত দুর্বল গণতন্ত্রের দেশগুলোকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

সুপ্রভাত ডেস্ক »

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন দাবি করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র সম্মেলনের প্রথম পর্বে সম্ভবত দুর্বল গণতন্ত্রের দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং সে কারণে বাংলাদেশ আমন্ত্রণ পায়নি।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে স্থিতিশীল গণতন্ত্র বিরাজ করছে। এটি অত্যন্ত স্বচ্ছ গণতন্ত্র। জনগণ সুষ্ঠু ও মুক্তভাবে ভোট দিতে পারছে। আমাদের দেশে সব মানুষ ভোট দিতে পারে।’

‘ইচ্ছা থাকলে উপায় থাকে এবং সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের অবস্থা অনেক ভালো,’ যোগ করেন তিনি।

আগামী ৯ ও ১০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভার্চুয়াল গণতন্ত্র সম্মেলনের আহ্বান করেছেন। বিশ্বের ১১০টি দেশকে এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশকে এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ না জানানো হলেও, দক্ষিণ এশিয়া থেকে ভারত, পাকিস্তান ও নেপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন অবশ্য বলেছেন যে কী প্যারামিটারে দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপার।

বাংলাদেশকে এ সম্মেলন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি একমত নন। তিনি বলেন, ‘তারা দুই ধাপে এই সম্মেলন করবে। এ বছর এবং আগামী বছর। প্রথম ধাপে কয়েকটি দেশ যোগ দেবে। আমরা হয়তো দ্বিতীয় পর্বে আমন্ত্রণ পাব।’

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র কীভাবে চলবে তা নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত। আমরা অন্যের পরামর্শ নিয়ে চলব না। আমরা অন্যের পরামর্শে কাজ করি না। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করি। আমরা প্রতিনিয়ত গণতন্ত্রের উন্নয়নের চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বরং তার ২৫০ বছরের পুরনো গণতন্ত্র নিয়ে সমস্যায় আছে।’

‘কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে কী ঘটেছে তা আপনারা দেখেছেন,’ যোগ করেন তিনি।