মুরগির বাজার চড়া বেড়েছে মাছের দামও

নিজস্ব প্রতিবেদক »

দুই সপ্তাহ ধরে অস্থির হওয়া মুরগির বাজারে এ সপ্তাহে দাম আরেক দফা বেড়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ল মাছের দাম।
ব্যবসায়ীদের দাবি- সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বাড়তি, যোগান বাড়লে দাম কমবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজিতে ২০০ থেকে ২১০ টাকা। যা গত দুই সপ্তাহ ধরে ছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। আর আগের মতো চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা। খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা। স্থিতিতে রয়েছে ডিমের বাজার। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করছে ১৩৫ টাকায়
বকসিরহাটে মো. আসাদ নামের এক ক্রেতা বলেন, প্রতি সপ্তাহেই নানা ইস্যুতেই ব্যবসায়ীরারা মুরগির দাম বাড়াচ্ছে। আজকে তারা বলছে মুরগির সংকট রয়েছে। এখন আমরা সাধারণ ক্রেতারা বুঝছি না। বিষয়টি প্রশাসনের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, যোগান
ও সরবরাহে কমতির কারণে পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। ফলে তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে পাইকাররা দুষছেন উৎপাদকদের। তারা বলছেন, উৎপাদকরা পোল্ট্রি খরচ বেড়েছে- এ অজুহাতে দাম বাড়িয়েছে। যার ফলে বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে।
এছাড়া মুরগির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছের দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সকল মাছের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা। বাজারে নাইলোটিকা ও ফাঙ্গাস বিক্রি হয়েছে সাইজভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। রুই, কাতলা, মৃগেলের মতো মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা। সমুদ্রের মাছের মধ্যে রুপচান্দা ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, লইট্যা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পোয়া ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কোরাল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা আর ইলিশ সাইজভেদে ৬০০ থেকে ১৬০০ টাকা।
রেয়াজউদ্দিন বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ‘সমুদ্রের মাছের পাশাপাশি দেশীয় চাষের মাছের বাজার যোগান ও সরবরাহ কম। যার ফলে দাম বেড়েছে।’
গত সপ্তাহের মতো স্থিতিতে রয়েছে শাকসবজি ও ডিমের বাজার। পাশাপাশি পাইকারিতে আদা ও রসুনের মতো পচনশীল পণ্যের দাম কমলেও খুচরা বাজারে তার তেমন প্রভাব পড়েনি।
সবজির বাজারে দেখা যায়, টমেটো, বেগুন, বাধাকপি, ফুলকপি, শিম, আলুসহ প্রায় শীতকালীন সবজি ২৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। গাজর ও কাঁচামরিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
এদিকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম কমতির দিকে হলেও খুচরাতে বরাবরের মতোই চড়া। খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। আদা ও রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। যা পাইকারিতে কমেছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।