বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে চট্টগ্রাম ডিসির ফুল উৎসব

সুপ্রভাত ডেস্ক »

চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট পোর্ট লিংক রোডের পাশে ডিসি ফ্লাওয়ার পার্কে ফুল উৎসবের অষ্টম দিন (শুক্রবার) এতিম ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। এদিন তাদের সঙ্গে সময় কাটান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

শুক্রবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৬টি বাসে করে সরকারি শিশু পরিবার এবং সীতাকু- প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের প্রায় দুই শতাধিক শিশু এখানে আসে। এসব শিশুদের জন্য এখানে নাগরদোলা, কায়াকিং ও নৌকায় চড়ে বিশাল দিঘিতে ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।

মাঈনুল ইসলাম নামে হুইল চেয়ারে বসা এক কিশোর জানান, প্রতিবন্ধীদের কথা কেউ ভাবেন না। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আমাদের জন্য আজকে যে আয়োজন করেছে, আমাদেরকে যে সময় দিয়েছেন তা আমাদের সারা জীবন মনে থাকবে।

চট্টগ্রাম সরকারি শিশু পরিবারের শিক্ষক রুমা পারভীন বলেন, এটি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের এক মহৎ উদ্যোগ। এত বিশাল জায়গাজুড়ে শুধু ফুলের বাগান চট্টগ্রামের অন্য কোথাও নেই। আমরা চাই যেন মাঝে মাঝে আমাদের এসব এতিম বাচ্চাদের নিয়ে এখানে আসতে পারি। এ রকম একটি পার্ক শিশুদের মানসিক বিকাশে দারুণ অবদান রাখবে। খবর ঢাকাপোস্ট।

সীতাকু- উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, একসময়ের মাদকের রাজ্য এখন ফুলের রাজ্য হয়েছে। এ ফুলের সাম্রাজ্যে শিশু-কিশোরদের মিলন মেলা ও উৎসবে রূপ নিয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদেরকে নিয়ে পুরো প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখান এবং তাদের নানা সুবিধা অসুবিধার কথা জানার চেষ্টা করেন।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, এসব পিতৃ-মাতৃহীন এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা আমাদের সমাজেরই অংশ। তাদেরকে সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে বাদ দিয়ে কোনোভাবেই সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নত বিশ্বে এ ধরনের শিশুদের সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে সব জায়গায় এ ধরনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা ড. সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ করেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও এ সকল শিশুদের বিষয়ে খুবই আন্তরিক। আমরা অবশ্যই শিশুবান্ধব ও প্রতিবন্ধীবান্ধব হিসেবে এই ডিসি পার্ককে গড়ে তুলব। তারা যেন প্রতি সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট সময়ে এখানে আসতে পারে এবং খেলাধুলা করতে পারে সে ব্যবস্থা করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাকিব হাসান, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. তৌহিদুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রতিক দত্ত।