চট্টগ্রামে বিআইটিআইডি ল্যাব প্রধানসহ নতুন আক্রান্ত ৯৭ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষায় সবচেয়ে সামনের সারির ব্যক্তিটির নাম হলো ডা. শাকিল আহমেদ। চট্টগ্রামে আজ যে তিনটি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে এবং যারা করোনা পরীক্ষার সাথে যুক্ত তাদের সবাইকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বিআইটিআইডি ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ। এবার তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন। ৫৬ বছর বয়সী এই চিকিৎসকসহ আজ নগরীতে ৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে ৩৩১ নমুনার মধ্যে ৫১ জন ও ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬৭ নমুনার মধ্যে ৪৬ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এদিকে নতুন করে ৯৭ জন করোনা পজিটিভ হওয়ায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১,৭৭৬ জন।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬৭ নমুনার মধ্যে ৪৬  জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। অপরদিকে ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি ল্যাবে ৩৩১ নমুনার মধ্যে ৫১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। অপরদিকে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

এদিকে আজ নতুন করে ৯৭ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ১,৭৭৬ জন। এর আগে ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন,  ২১ মে  ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের  ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।