বাড়ি গিয়ে লাশ হলেন উজ্জ্বল

‘ছিনতাই কাজে বাধা দেওয়ায় মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া »

পটিয়ায় আবারো একটি রক্তাক্ত মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। তার নাম উজ্জ্বল সেন (৩০)। সে উপজেলার খরনা ইউনিয়নের মুজাফরাবাদ গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল সেনের পুত্র। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের গিরিশ চৌধুরী বাজার এলাকার একটি ময়লার ভাগাড় থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। পরে ময়নাতদন্তের মর্গে প্রেরণ করেছে।

নিহত উজ্জ্বল একজন গার্মেন্টস কর্মী। তবে এটি হত্যা না সড়ক দুর্ঘটনা নিহত পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পটিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রপুল এলাকার একটি ডোবা থেকে নিখোঁজের ৪ দিন মো. ইদ্রিস (৩৫) নামের আরেকজনের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে।

জানা গেছে, উপজেলার মুজাফরাবাদ গ্রামের গার্মেন্টস কর্মী উজ্জ্বল কাজ শেষ করে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের গিরিশ চৌধুরী বাজারের ময়লার স্তুপে উজ্জ্বলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ওই যুবকের মাথায় ও শরীরের কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. শফি জানিয়েছেন, যেখান থেকে গার্মেন্টস কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ওই স্থানে প্রায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে থাকে। গত এক সপ্তাহে তিনটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাই কাজে বাধা দেওয়ায় ছিনতাকারীরা মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছে। গার্মেন্টস কর্মীর চাচা রতন সেন জানিয়েছেন, নিহত উজ্জ্বলের সঙ্গে এলাকার কারো কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন। ছিনতাই কাজে বাধা দেওয়ায় মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, স্থানীয় লোকজন থেকে খবর পেয়ে থানা পুলিশ গার্মেন্টস কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে। পরে মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে এটি হত্যা না সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়।