চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা

হাটহাজারী

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাটহাজারী »

সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মোহাম্মদ সোহেল আলমকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার দেওয়ান নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে র‌্যাব-৭ এর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সোহেল হাটহাজারী উপজেলার ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া শিকদার পাড়া এলাকার মৃত ফয়েজ আহমদের পুত্র।

জানা গেছে, প্রতারণার শিকার মিঠুন চক্রবর্তী পেশায় একজন গাড়ি চালক। গাড়ি চালানোর সুবাদে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে প্রতারক মোহাম্মদ সোহেল আলমের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রতারক সোহেল হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিঠুনকে ড্রাইভার পদে চাকরি দিতে পারবে বলে জানান। প্রতারক মোহাম্মদ সোহেল আলম তার অপর সহযোগী মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীকে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর দুই প্রতারক মিলে মিঠুন চক্রবর্তীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৬ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিলে স্থায়ীভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবে বলেও প্রলোভন দেখায়।

প্রতারকের কথায় বিশ্বাস করে জুলাই মাসে দুই ধাপে তাদের ৫ লাখ টাকা দেন মিঠুন চক্রবর্তী। এরপর প্রতারক চক্রটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি নিয়োগপত্র প্রদান করে। নিয়োগপত্রটি হাতে পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে মিঠুন চক্রবর্তী জানতে পারেন যে এটা একটা ভুয়া নিয়োগপত্র। এরপর এ বিষয়ে প্রতারক চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা হুমকি ধমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতারকরা মিঠুনকে ১ লাখ টাকা ফেরত দেয়। বাকি টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তারা।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী মিঠুন চক্রবর্তী প্রতারণার বিষয়ে র‌্যাব-৭ এ একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিম দেওয়ান নগর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার সোহেল প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। তার অপর সহযোগী মো. জসীম উদ্দিনদের সঙ্গে মিলে পরিকল্পিতভাবে দীর্ঘ দিন ধরে সাধারণ মানুষকে সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।