বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন ৭৯ সাঁতারু

বিজয়ী হলেন সাইফুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
কক্সবাজার টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ থেকে এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন ৭৯ সাঁতারু। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে সাঁতার শুরু করেন তারা।
১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিনে পৌঁছান ৫৪ জন সাঁতারু। বাকীদের মাঝপথে উদ্ধারকারীরা উদ্ধার করে ট্রলারে তুলে নেয়। দ্বীপে পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন তাদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। এবারে ১৬তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজন করেছে ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা।
জানা গেছে, বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সময় সাঁতারুদের সাথে ছিলেন ১০ বছর বয়সের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী লারিসা। এছাড়া ছিলেন একজন ফ্রাঁন্স নাগরিকও। লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিয়েছেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। তবে মাঝপথে তারা ব্যর্থ হলে উদ্ধারকারীরা তাদের ট্রলারে তুলে নেয়। বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সবার আগে দ্বীপে পৌঁছান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম রাসেল। এর আগে গত বছর সাইফুল ইসলাম রাসেল ৩ ঘণ্টা ২১ মিনিটে পাড়ি দিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এবারে ৩ ঘণ্টা ১৬ মিনিটে পাড়ি দিয়ে তৃতীয় হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সালাহ উদ্দিন। এরপর সূর্যাস্তের সাথে সাথে পর্যায়ক্রমে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৭৪ জন সাঁতারু দ্বীপে পৌঁছান।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সালাউদ্দিন বলেন, ‘মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে মনে হচ্ছে ‘বিশ্ব জয়’ করেছি।
ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী লিপ্টন সরকার জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সমুদ্র সৈকত থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন ৭৯ সাঁতারু। বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে দ্বীপে পৌঁছান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম রাসেল। সবচেয়ে কম সময়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার গৌরবও অর্জন করেন তিনি।
আয়োজক লিপ্টন সরকার আরও বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে সাঁতারের আয়োজন করা হয়েছে। সাঁতারুরা ফ্রি হ্যান্ডে সাঁতার কেটেছে। নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক সাঁতারুর সঙ্গে একজন করে উদ্ধারকারী ছিল। গেলো বছর ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিল। বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছি।