বজ্রপাতে নিহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার, প্রতিনিধি, বাঁশখালী

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় বজ্রপাতে ৩ জনের প্রাণহানি ও ২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরং ইউনিয়নে চোল্লা পাড়ায় এবং দুপুর ১টার দিকে পেকুয়ার মগনামা ইউপির শরৎঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে নিহতরা হলেন- পেকুয়ার রমজান আলী (৪৫)। তিনি ওই এলাকার মোহাম্মদ হোছাইনের ছেলে। কুতুবদিয়ায় জেলে ইমতিয়াজ হোসেন (২৫) ও মো. করিম (৩৫)। তারা উপজেলার উত্তর ধুরং ইউনিয়নের বাসিন্দা।
মগনামার স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাহীন আব্দুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বজ্রপাতে আক্কাস ও রমিজ নামে আরো দুই জেলে আহত হয়েছেন।
আহতদের বরাত দিয়ে উত্তর ধুরংয়ের স্থানীয় বাসিন্দা মনির বলেন, ‘সাগরে মাছ আহরণ বন্ধ থাকায় ট্রলার সংস্কারের কাজ করছিলেন জেলেরা। দুপুর ১২টার দিকে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ট্রলারে থাকা চার মাঝি আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুতুবদিয়া হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ইমতিয়াজ ও করিমকে মৃত ঘোষণা করেন।’
হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাহীন আব্দুর রহমান বলেন, ‘বজ্রপাতে গুরুতর আহত চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে করিম ও ইমতিয়াজ নামে দুজন মারা গেছেন।’
পেকুয়ার মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী বলেন, ‘রমজান আলী দুপুরে মাছ ধরতে বিলে যান। এ সময় বজ্রপাত হলে রমজান আলী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
বাঁশখালী
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দিনার আলী (২৫) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে সাড়ে ৪টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দিনার আলী বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মাওলানা রৌশন আলী বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা মৃত কাশেম আলীর ছোট ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ভোরে দিনার আলীসহ তারা একসঙ্গে পাঁচজন ফিশিং বোট নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে রওয়ানা দেয়। হঠাৎ বজ্রপাতে দিনার আলী ফিশিং বোটেই মারা যান। দিনার আলী ওই ফিশিং বোটের মাঝি ছিলেন। তার সঙ্গী জেলেরা তাকে মৃত অবস্থায় ঘরে নিয়ে আসেন।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।