বাঙালির অনেক উৎসবের সঙ্গে যুক্ত হলো বই উৎসবও : মেয়র

সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বাঙালির অনেক উৎসবের ঐহিত্য আছে, সেই উৎসবের সাথে যুক্ত হলো বই উৎসবও। শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বছর মানেই নতুন ক্লাস, আর নতুন বইয়ের উৎসব। শিক্ষার্থীগণ বছরের প্রথম দিনে নতুন বই পেয়ে আনন্দে উচ্ছসিত হয়ে উঠে।
তিনি গতকাল শনিবার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী ভবনে কনফারেন্স কক্ষ হতে অনলাইনে বই বিতরণ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মেয়র আরও বলেন, বছরের শুরুতে সরকার শিক্ষার্থীদের মাঝে সারাদেশে ৩৪ কোটি ২০ লাখ বই বিতরণ করে অন্যান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দেশকে উন্নতির শিখরে নিতে হলে শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। শিক্ষকদের যথাযথ পাঠদান, মূল্যায়ন ও অভিভাবকদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার। বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ড. নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, আবদুল মান্নান, লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী, হুরে আরা বেগম, সচিব খালেদ মাহমুদ, শিক্ষক আবুল কাশেম, চন্দনা মজুমদার। অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন কাউন্সিলর মো. নুরুল আমিন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। এক সময় বছর শুরুতে বই পাওয়া যেত না। শিক্ষার্থীদের পুরাতন বই সংগ্রহ করে ক্লাসে যেতে হতো। অনেক পরিবার তার সন্তানের জন্য বইয়ের ব্যবস্থা করতে পারতো না। সে কারণে অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখা থেকে পিছিয়ে যেতো এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বৈষম্য তৈরি হতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১০ সাল থেকে বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দিয়ে বৈষম্য দূর এবং শিক্ষার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকৃত শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে চলতে উন্নত ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশের হাল ধরার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৫৫টি বিদ্যালয়ে অনলাইনে বই বিতরণ উৎসব উদযাপন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি