ফাগুন হাওয়া

জুয়লে আশরাফ

চায়ে চুমুক দয়িে আফরোজা বলল, কমেন আছো?
নশিাত কছিু বলল না । রাতে সে ভয়ংকর একটা স্বপ্ন দখেছেে । সইে স্বপ্নটা আফরোজাকে বলা ঠকি হবে কনিা বুঝে ওঠতে পারছে না । খারাপ স্বপ্নটা এ জন্যই বলা ঠকি না কারণ আফরোজাকে নয়িইে স্বপ্নটা দখো ।
আফরোজা আবার বলল, কথা বলছো না কনে? চুপ করে আছো য,ে মন খারাপ?
নশিাত বলল, না না, মন ভালো আছ।ে
তবে কী শরীর খারাপ?
শরীরও ভাল।
চুপচাপ কনে এত? কথা বলো।
নশিাত আফরোজার মুখরে দকিে তাকাল। সইে মুখে কশিোরী সুন্দররে আভা মাখানো। দখেতইে ইচ্ছে করে শুধু। এমন সুন্দর মুখরে দকিে তাকয়িে খারাপ স্বপ্ন বলা যায় না। সে যে স্বপ্নে আফরোজার গাল ছুঁয়ে দয়িছেে এটা বলতওে পারবে না। বলা ঠকিও হবে না। আফরোজার রাগ ভীষণ । শোনা মাত্রই রগেে আগুন হয়ে উঠতে পার।ে
আফরোজা বলল, তোমার কি হয়ছেে বলো তো, সইে তখন থকেে চুপ। কছিু বলছো না কনে?
নশিাত বলল, কি বলবো?
যা মনে আসে তাই বলো। চুপ করে থাকলে ভালো লাগে না।
নশিাত ইতস্তত ভঙ্গতিে বলল, ভাবছি তোমাকে একটা কথা বলবো। কন্তিু বুঝতে পারছি না বলা ঠকি হবে কনিা।
কী কথা? বলে ফলেো। আমার শুনতে অসুবধিা নইে।
স্বপ্ন।
কি স্বপ্ন?
স্বপ্নে দখেছেি তোমাক।ে
কি দখেছে?
নশিাত চুপ। স্বপ্নে সে কী দখেছেে বলতে পারছে না।
আফরোজা উত্তজেতি হয়ে উঠে বলল, স্বপ্নে আমাকে কি দখেলে বলো।
নশিাত ভয়ে ভয়ে বলল, স্বপ্নে দখেি তুমি আমার কাছে চলে এসছে। এসইে আমাকে বলছো আমার এবোকাডো শষে হয়ে গছে।ে কাল থকেে খতেে পারছি না। এনে দতিে পারব?ে বলতে বলতইে তুমি আমার গালে হাত রাখছো। আর বলছো তোমার গাল এত শীতল কনে?
আফরোজা বলল, তুমি স্বপ্নে এই দখেছে?
নশিাত বলল, হ্যাঁ।
মথ্যিা বলার আর জায়গা পাওনা? তোমার গাল আমি ছোঁব? আম?ি আমি কারোর গালটাল ছুঁতে পছন্দ করি না। কনে মথ্যিা বলল?ে জবাব দাও।
প্লজি আফরোজা শান্ত হও। এটা তো স্বপ্ন। বাস্তব কছিু না। স্বপ্ন শুনে তুমি উত্তজেতি হচ্ছো কনে? মানুষ তো এরচে ভয়ংকর খারাপ স্বপ্নও দখে।ে
আফরোজা আরো উত্তজেতি হয়ে উঠে বলল, কী বললে তুম!ি আমাকে নয়িে খারাপ স্বপ্ন দখেছে? আবার বলো কি বলছে।
প্লজি শান্ত হও। উত্তজেতি হবার মতো কছিুই ঘটনে।ি স্বপ্নটা বলা তোমাকে ঠকি হয়ন।ি আর কখনো বলবো না।
নশিাত চুপ করে গলে। আফরোজা চুপ। অল্প পরে সে বলল, তোমার মুখটা একটু সামনে আনো, তোমার মুখটা ছুঁয়ে দবে একটু।
নশিাত অবাক হয়ে তাকাল। আফরোজা বলল, আমাকে তুমি কি মনে করো? তোমার কি মনে হয় না তোমাকে আমি অনুভব কর?ি তুমি একটা পাগল কচ্ছিু বোঝ না। তোমার মুখ কাছে আনো ছুঁয়ে দবে।
অতরিক্তি আনন্দে নশিাত কাছে আনতে পারলো না মুখ। আনন্দে তার চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে এসছে।ে চোখ ভজিে যাচ্ছ।ে এখনি চোখ থকেে পানি বরে হবার সম্ভাবনা আছ।ে সে চোখরে পানি গোপন করার চষ্টো করে উল্টো দকিে মুখ ফরোলো। এপাশে খোলা জানালা দয়িে পরষ্কিার স্বচ্ছ নীল আকাশ দখো যাচ্ছ।ে বুকরে ভতের ফাগুন হাওয়া লাগছ।ে সইে হাওয়ায় চোখ থকেে পানি বরেয়িে এলো এক ফোঁটা। এই পানি আনন্দরে, এই পানি সুখরে। খুব ইচ্ছে করছে আনন্দরে এই পানি আফরোজাকে দখোত।ে কন্তিু পুরুষরে চোখরে পানি ময়েদেরে দখোনো ঠকি না, হোক সে দুঃখরে পানি অথবা সুখরে।