পলাতক খুনিদের অচিরে ফিরিয়ে আনা হবে : নজরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দনাইশ »

চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্থবক অর্পণ, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ আগস্ট সকালে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, চন্দনাইশ থানা পুলিশ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. নজরুল ইসলাম  চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের অন্যায়, জুলুম ও শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গনঅভ্যুত্থান,  মহান স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানিদের চূড়ান্ত ভাবে পরাজিত করে জয়যুক্ত হয়ে মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি আমরা। এসব কিছুর পেছনে ও  নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত  পোড়া মাটির এই দেশে এসে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দৃঢ়তার বলে প্রত্যেকটা সমস্যার সমাধান করে সুনিপুণভাবে দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন স্বাধীনতা বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির পিতাকে হত্যা করে এ জাতির মুখে কলঙ্কের দাগ এঁকে দিয়েছিলো।

এমনকি ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করে খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। বিদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিলো। জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে এ জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে। পলাতক খুনিদেরকেও দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে অচিরেই।” আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজা  জেরিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  মোহাম্মদ আবদুল জব্বার  চৌধুরী, পৌর মেয়র মু. মাহাবুবুল আলম খোকা, উপজেলা ভাইস   চেয়ারম্যান মাওলানা  সোলাইমান ফারুকী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট কামেলা খানম রূপা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শাহীন হোসাইন চৌধুরী, থানা অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন সরকার, দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ চৌধুরী জুনু।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা ইন্সট্রাক্টর আকতার সানজিদা জাফর পপি ও তথ্যসেবা কর্মকর্তা শাপলা খাতুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবর আলী ইনু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা কৃষক লীগ নবাব আলী, পৌরসভা যুবলীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক লোকমান হাকিম, যুবলীগ নেতা মো. লোকমান হাকিম, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চন্দনাইশ সদরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৩টি গ্রুপের ৯ জনকে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ৬০ জন দুস্থ নারীকে সেলাই মেশিন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ১৫ জনকে দুই বান্ডিল করে ডেউটিন ও ৬ হাজার করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন সুপারভাইজার  গোলাম মোহাম্মদ  সোবহান।