নগরে টিকা পেলেন ৬৫ শতাংশ মানুষ

প্রথম ডোজ ২০ লাখ, দ্বিতীয় ডোজ ১৩ লাখের বেশি, বুস্টার ডোজ ৪৩ হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক »
সারাদেশে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। একই সাথে টিকাদান কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে চট্টগ্রাম নগরে এ পর্যন্ত ৬৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে।
তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়লেও টিকা নেওয়া মানুষের করোনা সংক্রমণেও মৃত্যু ঝুঁকি কমছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে এখনও টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে দেওয়া হয়েছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা, সিনোফার্মা, মডার্না ও ফাইজার ভ্যাকসিন। প্রথম দিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নিতে অনাগ্রহ থাকলেও পরবর্তীতে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী হয়েছে। যার ফলে বেশিরভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী নগরীর মোট জনসংখ্যা ৩১ লাখ ৮৩৩ জন। টিকাদান কার্যক্রম শুরু থেকে রোববার পর্যন্ত এদের মধ্যে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬৬ জন নিয়েছেন করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ। যা নগরীর মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ। একইভাবে দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ১৩ লাখ ১৭ হাজার ২৪০ জন। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সংখ্যা শতকরা হিসেবে ৪৩ শতাংশ। তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ ডোজ নিয়েছে ৪২ হাজার ৯৪১ জন।
একইভাবে উপজেলার হিসেবে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলায় মোট জনসংখ্যা ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩১ জন। এদের মধ্যে ৩১ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৫ জন প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছে। যা শতকরা হিসেবে ৫৪ শতাংশ। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ১৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩৯৫ জন। যা উপজেলার মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। বুস্টার ডোজ নিয়েছে ৯ হাজার ৬৫৫ জন।
জেলায় সর্বমোট ৮৩ লাখ ১৩ হাজার ২৫২ ডোজ টিকা ব্যবহার হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম জেলার মোট জনসংখ্যা ৮৯ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬৪ জন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছে ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ২১ জন। জেলার মোট জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছে। তাছাড়া দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৫ জন। যা জেলার মোট জনসংখ্যার ৩৪ শতাংশ। জেলায় মোট ৫২ হাজার ৫৯৬ জন পেয়েছে বুস্টার ডোজ।
জেলা সিভিল সার্জন সুপ্রভাতকে বলেন, ‘নগরীর শূন্য থেকে ১২ বছর বয়সীদের বাদ দিলে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার আওতায় এসেছে। যদি আঠারো বছরের ঊর্ধ্বে হিসেব করা হয় তাহলে ৬৪ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি। তাছাড়া জেলায় মোট ৮ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী পেয়েছে করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ। নগরে ও উপজেলায় প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা টিকাদানে শ্রেণি পেশা দেখা হয়নি। কারাবন্দি থেকে শুরু করে বেদে, হিজড়া সম্প্রদায়, মাদ্রাসা, স্কুল পরিবহন শ্রমিকসহ নানা পেশার মানুষকে টিকার আওতায় এনেছি। কারণ যত বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে করোনা সংক্রমণের ফলে তত বেশি ঝুঁকি হ্রাস পাবে। মৃত্যু ঝুঁকি কমে যাবে।’