দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের তাগিদ

কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভা

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি যৌথ আয়োজনে ‘কানাডা-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ’ বিষয়ক সভা ০৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস। এ সময় চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মোঃ রুহুল আমিন ও সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি মাসুদ রহমান, চেম্বার পরিচালক নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, প্রাক্তন সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, প্রাক্তন পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা, জেএফ (বাংলাদেশ)’র সিইও রাহবার আলম আনোয়ার, হাইকমিশনের সিনিয়র ট্রেড কমিশনার অ্যাঞ্জেলা ডার্ক এবং রিলায়েন্স এসেট্স্ এন্ড ডেভেলাপমেন্টস (বিডি) লিঃ’র পরিচালক ওমর মুক্তাদির বক্তব্য রাখেন। এ সময় চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, মোঃ ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম)-সহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির অংশ হিসেবে কানাডা এ অঞ্চলের জন্য ২০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশ এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই কানাডার সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নের এখনই উপযুক্ত সময়। এই লক্ষ্যে দু’দেশের তিন জন করে ছয় জনের একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, উভয়দেশের মধ্যে বিনিয়োগে বৈচিত্র্যতা আনতে কানাডা আগ্রহী। তাছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ইনফরমেশন টেকনোলজি, ব্লু ও গ্রীণ টেকনোলজি, নবায়নযোগ্য জ্বালানীসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডা।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে কানাডা। দু’দেশের মধ্যে প্রায় ২.২ থেকে ২.৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য সংঘটিত হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রায় ১.৩ থেকে ১.৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি এবং কানাডা থেকে বাংলাদেশ ১.০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করছে। বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি হলেও পণ্য বৈচিত্র্যকরণের জন্য নন-ট্রেডিশনাল পণ্যের জন্য কানাডার সহযোগিতা কামনা করেন।