ডা. শাহাদাতসহ ১৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ

বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুই মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক <<
নগর পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে গত সোমবার সংঘর্ষের ঘটনায় দলের মহানগর আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ডা. শাহাদাত হোসেনকে তিনটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালত তাকে এসব মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
কোতোয়ালী থানা ও ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে গত সোমবার রাতে মামলা দুটি দায়ের করা হয় বলে কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান।
মামলায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত ছাড়াও দক্ষিণ জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে দুই মামলায়।
এর মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কোতোয়ালী থানা পুলিশের করা মামলায় শাহাদাতসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার তাদের রিমান্ড শুনানি হবে।
ডা. শাহাদাত হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম বদরুল আনোয়ার সুপ্রভাতকে বলেন, ‘ডা. শাহাদাত হোসেনকে তিনটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এসব মামলায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। বুধবার মামলার শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে।’
পুলিশ জানায়, গত সোমবার বিকালে নগরীর কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ডেকেছিল মহানগর বিএনপি। সেই সমাবেশে আসা মিছিল থেকে পুলিশের দিকে ঢিল ছোড়া হলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
পরে ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিএনপির অন্তত ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। ঐদিন সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ এলাকার ট্রিটমেন্ট হাসপাতালের চেম্বার থেকে ডা. শাহাদাত হোসেনকে থেকে আটক করা হয়।
শাহাদাতকে আটক করার পর রাতে তাকে একটি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। নগর বিএনপির এক নারী নেত্রী এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ওই মামলা করেন বলে জানান পুলিশ।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপি কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলায় শিবির কর্মীরাও অংশ নিয়েছে।