টিকা নিতে মানুষের উপচেপড়া ভিড়

একদিনে নগরে টিকা পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭১৬ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক >
সরকার নির্দেশিত একদিনের গণটিকা কার্যক্রম শেষ হয়েছে। একদিনে নগরে টিকা দেওয়া হয়েছে ৪৬ হাজার ৭১৬ জনকে। কিছু অভিযোগ ছাড়া ভালোভাবে শেষ হয়েছে টিকাদান।
শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে এ গণটিকা কার্যক্রম। নগরের বিভিন্ন এলাকার টিকাদান কেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, সকাল ৯টা থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলেও সকাল ৭টা থেকে ছিল টিকা প্রত্যাশীদের ভিড়। এতে লাইনে রয়েছে যুবক, বৃদ্ধ নারী-পুরুষ। তবে পূর্ব নিবন্ধন ছাড়া দেওয়া হয়নি টিকা। টিকা সীমিত সংখ্যা হওয়াতে সবাই টিকা পাইনি। টিকা পাবে না জেনেও অনেকে দাঁড়িয়ে ছিল যদি শেষ মূহূর্তে এক ডোজ বাকি থাকে তা পাওয়ার আশায়। স্বেচ্ছাসেবক ছিল এসব টিকাদান কেন্দ্রে। তবে কিছু কিছু এলাকায় টোকেন বানানো হয়েছে টিকা প্রত্যাশীদের জন্য। যারা টোকেন পেয়েছে তারাই টিকা নিতে পেরেছে। তবে বয়োজ্যেষ্ঠ, নারী, প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হয়েছে। আঠারোর্ধ বয়সীদের টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও ১ দিনের কার্যক্রমে তারা পায়নি টিকা। এদিকে কাউন্সিলরদের পরিচিতজন ছাড়া সাধারণ মানুষ টিকা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ওয়ার্ডভিত্তিক টিকা কার্যংক্রম চলমান থাকার দিনেও নগরের স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। এসময় আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে টিকা নিতে আসা নুরুন্নেছা বেগম বলেন, ‘ওয়ার্ডভিত্তিক টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় স্থায়ী টিকা কেন্দ্রগুলো ফাঁকা থাকবে ভেবে এসেছি। কিন্তু আজকে মনে হচ্ছে নগরের সব মানুষ ভিড় করেছে এইখানে।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, নগরের ৪১ ওয়ার্ডের ১২৩ টিকা কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ৭৩৫ জনকে গণটিকার আওতায় আনা হয়েছে। ওয়ার্ডভিত্তিক টিকা কেন্দ্রে ২২ হাজার ৮৯৫ জন পঞ্চাশোর্ধ ও ১৩ হাজার ৮৪০ জন পঞ্চাশ বছরের নিচে মানুষকে টিকা নিয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ হাজার ৮৫৫ জন নারী ও ২০ হাজার ৮৮০ জন পুরুষ। তাছাড়া ১০টি টিকা কেন্দ্রে ৯ হাজার ৯৮১ জনকে দেওয়া হয়েছে টিকা। একদিনে সর্বমোট ৪৬ হাজার ৭১৬ জনকে টিকা পেয়েছে।
টিকা নিতে আসা শাহনাজ সুলতানা বলেন, ‘সকাল ৭ টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। জেনারেলে হাসপাতালে দুবার গিয়েও টিকা পাইনি। তাই এখানে টিকা নেতে এসেছি। কোনো ঝামেলা ছাড়া টিকা নিতে পেরে তিনি খুশি হয়েছেন।’
অন্যদিকে আশেকুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘কাউন্সিলরের পরিচিত মানুষদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ টিকা পাইনি। টোকেন সিস্টেমে টিকা দেওয়া হয়েছে। এভাবে এলাকাভিত্তিক টিকাদান কর্মসূচিতে প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। না হয় এমন স্বজনপ্রীতির কারণে অনেকে টিকা নিতে আগ্রহ হারাবে।’