চবির মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ পদবঞ্চিতদের

ছাত্রলীগের কমিটি

চবি প্রতিনিধি

ঘোষিত কমিটিতে যথাযথ মূল্যায়নের দাবিতে মূল ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা।
লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে এতে অংশগ্রহণ করে চবি ছাত্রলীগের ৬টি উপগ্রুপ। অংশ নেওয়া সবগুলো গ্রুপই সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর তারা মানববন্ধন ও ৮ সেপ্টেম্বর গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করে।
গতকাল রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ঝুপড়ি থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে তা জিরো পয়েন্ট মূল ফটকে এসে শেষ হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা গেইট বন্ধ করে টায়ার জ্বালিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের সমাবেশ চলছিল।

তাদের তিনটি দাবি হলো:

পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তকরণ, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন ও কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ। দাবি মেনে নেওয়া না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।
চবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, ৩ বছর পর গঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ত্যাগী ছাত্রলীগ কর্মীদের হতাশ করেছে। ৪২৫ সদস্যের কমিটিতে সিনিয়র জুনিয়র বিবেচনা করা হয়নি। উল্টো নিষ্ক্রিয়, জামায়াত-বিএনপি পরিবারের ছেলেদের স্থান দিয়ে কমিটিকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। এর প্রতিবাদে এর আগেও আমরা আন্দোলন করেছি। আমাদের নিয়মিত আন্দোলন চলবে। আমরা ছাত্রলীগ সহিংসতায় বিশ্বাসী নই। সাংগঠনিক ও সুশৃঙ্খল আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। তবে দাবি আদায় না হলে এর থেকে কঠোর কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হবো।

আরেক সহসভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ঘোষণার পর থেকেই নতুন কমিটি ব্যাপক সমালোচিত। কমিটি সংশোধনের জন্য আমরা অনেকদিন থেকেই আন্দোলন করে আসছি। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে বলতে চাই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কোন কাজ করতে আমাদের বাধ্য করবেন না। অভিভাবক হিসেবে দ্রুত আমাদের দাবি বিবেচনা করুন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই প্রায় ৩ বছর পর চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে পদবঞ্চিতরা।