চট্টগ্রামে সাত হাজার অতিক্রম হলো করোনা রোগী

আনোয়ারায় করোনা আক্রান্তের দাফন করা হচ্ছে
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্ত ২৪১ জন, মারা গেল ৩ জন, সুস্থ ১৬ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সাত হাজার অতিক্রম করলো করোনা রোগী। গত মঙ্গলবার একদিনে ২৮০ জন শনাক্তের পর গতকাল বুধবার একদিনে শনাক্ত হয়েছে ২৪১ জন। এতে চট্টগ্রামে করোনা রোগী সাত হাজার অতিক্রম করলো। গত ৩ এপ্রিল একজন শনাক্তের পর গত মাস থেকে তা দ্রম্নত বাড়তে থাকে। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল বুধবার (২৪ জুন) ৯৭১ টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ২৪১ জনের। এই ২৪১ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৯২ জন ও উপজেলার ৪৯ জন। আর এতে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ২২০ জন এবং এদের মধ্যে মারা গেছে ১৫৫ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৮৯৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে মারা গেছে তিন জন এবং সুস’ হয়েছে ১৬ জন।

সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৭৫টি নমুনার মধ্যে ৪৮টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই ৪৮ জনের মধ্যে ৩৯ জন মহানগরের এবং ৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪১টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৪২ জনের, এদের মধ্যে ২০ জন নগরীর এবং ২২ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৪৯টি নমুনার মধ্যে ৯৪ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, ৯৪ জনের মধ্যে ৮৫ জন নগরীর এবং ৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০টি নমুনার মধ্যে ৯ জন পজিটিভ হয়েছে, এই ৯ জনের মধ্যে ৪ জন মহানগরীর এবং ৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ৯৫টি নমুনার মধ্যে ৪৬ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে, এদের মধ্যে ৪৪ জন মহানগরীর এবং ২ জন উপজেলার বাসিন্দা। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১১ জনের নমুনার মধ্যে দুইজনের পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এদের সকলে উপজেলার বাসিন্দা।

উপজেলাগুলোতে আক্রান্ত হওয়া ৪৯ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ১ জন, সাতকানিয়ায় ২ জন, পটিয়ায় ৭ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১ জন, রাউজানে ১৪ জন, ফটিকছড়িতে ৪ জন, হাটহাজারিতে ৭ জন, সীতাকুন্ডে ৮ জন , মিরসরাইয়ে ১ জন ও সন্দ্বীপে ১ জন রয়েছেন।

এদিকে গত বুধবার নতুন করে ২৪১ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৭,২২০ জন। এর আগে ২৩ জুন ২৮০ জন, ২২ জুন ২১৭ জন, ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন,  ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন,  ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন,  ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন,  ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন,  ২১ মে  ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের  ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।