গ্যাসের সংকট কাটবে কবে

Blue flames on gas stove burner.

চট্টগ্রামে দিনে ৩৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ২৯০ থেকে ২৯৪ মিলিয়ন ঘনফুট। ফলে প্রতিদিন ঘাটতি থাকছে ৩৬ থেকে ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট। নগরের বাসাবাড়িতে গ্যাসের চাপ নেই বললেই চলে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। রান্না নিয়ে নগরবাসীর দুর্ভোগের অন্ত নেই। এ অবস্থায় কেউ বৈদ্যুতিক চুলায়, কেউবা আবার এলপিজি সিলিন্ডার কিনে রান্না সারছেন। আর বস্তিবাসীরা বেছে নিচ্ছেন মাটির চুলা। বেশ কয়েকদিন ধরেই এমন সংকট চলছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না পাওয়ায় দেখা দিয়েছে ঘাটতি। চাপ কম থাকায় সিএনজি স্টেশনগুলোকেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমন অবস্থায় সহসা গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে এমন কোনো সুখবর দিতে পারছে না কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ।
এখন বাড়তি কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (সিইউএফএল) চালু হওয়ায় গ্যাস সংকট আরও বেড়েছে। আনোয়ারায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা সিইউএফএল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কোনোভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেছে। কিন্তু ১১ মাস ২০ দিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি এই কারখানায় সার উৎপাদন শুরু হয়েছে। পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, সিইউএফএলে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট। কারখানাটিতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের সরবরাহ দিতে গিয়ে আবাসিকে ঘাটতি প্রকট হয়েছে। কেজিডিসিএল বলছে, এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঘাটতি বেড়েছে।
তাহলে এখন উপায়টা কী হবে? দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতেই হিমসিম খাচ্ছে মানুষ। তার ওপর যদি গ্যাসের অভাব হয় এবং সে অভাব পূরণ করতে বাড়তি খরচ করতে হয় তাহলে তাদের উপায় হবে কী? সারা বছর জুড়ে গ্যাসের সংকট থাকছেই। এমনিতেই গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করতে পারে না কোম্পানি। তার ওপর কিছুদিন পরপরই শুরু হয় সংকট। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? একটা বিকল্প ব্যবস্থা তো গড়ে তুলতে হবে। সেটা এখন থেকেই শুরু হোক।