খুনের মামলায় ছাত্রনেতা মনিরকে ফাঁসানোর অভিযোগ

নগরের বায়েজিদে ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ইমন রনি খুনে মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নূরুল হক মনির সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করেছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (চপই) ছাত্রলীগ।
গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি ইকরামুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান সজীব একথা বলেন।
ইকরামুল কবির লিখিত বক্তব্যে বলেন, বায়েজিদের আরেফিন নগর এলাকায় বাস্তুহারা লীগ নেতা আব্দুল নবী লেদু গ্রুপের সঙ্গে শফি গ্রুপের দ্বন্দ্ব রয়েছে। লেদু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হত্যা, ধর্ষণসহ ১৯ মামলার আসামি সোর্স আনোয়ার সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হলে এলাকা আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ওই দুটি সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে বেশ কয়েকবার এলাকা আধিপত্য নিয়ন্ত্রণে পাগলা মাসুদ, ইমরান, তানভীর ও পিস্তল সোহেলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইকরামুল কবির বলেন, গত ৪ মার্চ আরেফিন নগরে উভয় পক্ষের একটি সংঘর্ষ হয়। এতে পিস্তল সোহেল গ্রুপের খারুল, মুন্না, কামরুল আহত হয়। ওই সংঘর্ষের পর পিস্তল সোহেল গ্রুপের গ্যাং লিডার ইমনকে লেদু গ্রুপের ক্যাডার রিপন, মামুন ও আলিফ তাদের গ্রুপে যোগ দিতে চাপ সৃষ্টি করে। এতে ইমন রাজি না হওয়ায় ৭ মার্চ প্রকাশ্যে লেদু বাহিনীর ক্যাডাররা ইমনকে হত্যা করে।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ দাবি করে, চপই ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল হক মনির খুনে কোনোভাবে জড়িত না। ঘটনার সময় তিনি এলাকায় ছিলেন না। এলাকায় বিবাদমান ওই দুটি সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে জড়িতও না। এলাকার একটি কুচক্রীমহল তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় আসামি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে চপই ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ১৮ মার্চের মধ্যে নূরুল হক মনির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করলে ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করা হবে বলে জানান তারা। বিজ্ঞপ্তি