কক্সবাজারে বিপর্যস্ত রেস্তোরাঁ ব্যবসা

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »

সকল প্রকার নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে বেকায়দায় পড়েছেন কক্সবাজার সদরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকরা।

জানা গেছে, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল কক্সবাজারের হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো। সেই আর্থিক ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকরা। এর মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় লোকসানে বিপর্যস্ত হয়ে অনেক হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন মালিকরা।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে যে লোকসান হয়েছে, তা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু এর মধ্যে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি থমকে দিয়েছে। এখন পণ্যের দামের কারণে খাবার বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ খড়গ থেকে পরিত্রাণের জন্য টিসিবির মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করার দাবি জানাই সরকারের কাছে। তাহলে অনেকে টিকে থাকতে পারবেন। ন্যায্যমূল্যে পণ্য পেলে তাদের খরচ কিছুটা পোষাবে।

এদিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে আসা পর্যটক শাহীন দম্পতি বলেন, সাগর পাড়ের একটি রেস্তোরাঁয় মাছ ও সবজি দিয়ে তিনজনে মিলে দুপুরের খাবার খেয়েছি দাম নিয়েছে ৯শ’ ৫০ টাকা। আমাদের কাছে মনে হয়েছে দাম প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা অতিরিক্ত নেয়া হয়েছে।

অপর পর্যটক কৌশিকুল ইসলাম বলেন, ভাজি, ভর্তা ও সবজি দিয়ে খাবার খেলাম। দাম নিল ২শ’ পঞ্চাশ টাকা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা বলে অতিরিক্ত দাম নেওয়া মোটেও সুমচিত হচ্ছে না রেস্তোরাঁ মালিকদের। এতে করে পর্যটন খাতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রেস্তোরাঁ মালিক জানালেন, দ্রব্যমূল্য বাড়ায় সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী আমরা। তারপরও কিছু কিছু রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম বাড়ানো হয়নি। খাবারের কোনো সংকট হয়নি। এ পরিস্থিতির মধ্যেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে, যা বাড়তি চাপ।

এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, টিসিবির মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা হলে, রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা অনেকটা লাভবান হবেন এবং সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে।