সড়ক যোগাযোগে গতি আসবে

smart

আজ চট্টগ্রামের ৯টি প্রতিষ্ঠানের ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এরমধ্যে অন্যতম হলো লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এটির নামকরণ করা হয়েছে প্রয়াত জননেতা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে।
মহানগরীর সড়ক উন্নয়নে আরেক ধাপ অগ্রগতি এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। বিমানবন্দরকেন্দ্রিক যানজট নিরসনে ২০১৯ সালে সিডিএ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু করে। আগ্রাবাদ, বারিকবিল্ডিং, সল্টগোলা, ইপিজেডের দীর্ঘ যানজট ঠেলে লালখান বাজার থেকে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছতে সময় লাগতো দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হতো বিমানবন্দরগামী যাত্রীদের। এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর সে দুর্গতির অবসান ঘটবে। এক্সপ্রেসওয়ে সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের কানেকটিভিটি সহজ করবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরোপুরি সুবিধা পেতে সব র‌্যাম্প চালু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটির সাথে প্রধানমন্ত্রী আরও উদ্বোধন করবেন ৫৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বায়েজিদ-ফৌজদারহাট ৫ কিলোমিটার লিংক রোড এবং চন্দনপুরা-কালামিয়া বাজার দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সেস সড়ক। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, যা প্রায় দেড় বছর ধরে অলস পড়েছিল। চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি), নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) পর চট্টগ্রাম বন্দরের তৃতীয় কনটেইনার টার্মিনাল হিসেবে যাত্রা শুরু করছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)। জেদ্দাভিত্তিক সৌদি কনটেইনার টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের আধুনিকীকরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালন করবে।
সে সঙ্গে সিরাজউদ্দৌলা রোড হতে শাহ আমানত ব্রীজ সংযোগ সড়ক (বাকলিয়া এক্সেস) নির্মাণ, যেটির নামকরণ করা হয়েছে জানে আলম দোভাষ সড়ক। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ সিজিএস কলোনীতে জরাজীর্ণ ১১টি ভবনের স্থলে ৯টি বহুতল আবাসিক ভবনে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য ৬৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ, ঢাকা ট্রাংক রোড হতে বায়েজিদ বোস্তামী রোড পর্যন্ত সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করবেন।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বাকলিয়া এক্সেস রোড ও বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিঙ্ক রোড নগরীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতিও পরিবর্তন করবে বলে আশা করছে নগরবাসী। তবে এক্সপ্রেসওয়ের পূর্ণ সুফল পেতে হলে এর র‌্যাম্পগুলোর দ্রুত নির্মাণ জরুরি। আমরা আশা করবে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।