আদর্শে আপসহীন ছিলেন ইসহাক মিয়া

মৃত্যুবার্ষিকী পালন

মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মুহাম্মদ ইসহাক মিয়া তাঁর সারা জীবন এই দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ট সেনানী হিসেবে এই দেশের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করেছেন। তাঁর মতো ত্যাগী নেতা পাওয়া এখন বিরল।

রবিবার সকালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হাজী পাড়াস্থ তাঁর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, আবদুস সালাম মাসুম, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, মো. সলিমউল্লাহ বাচ্ছু, আতাউল্লা চৌধুরী, মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, মোহাম্মদ জাবেদ, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মো. এসরারুল হক, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জাহেদা বেগম পপি ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ।

মহানগর আওয়ামী লীগ

সাবেক গণপরিষদ সদস্য, অন্যতম সংবিধান প্রণেতা, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও সাবেক এমপি আলহাজ মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২৪ জুলাই মরহুমের আগ্রাবাদস্থ পারিবারিক কবরস্থানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। হাজী পাড়া সুন্নিয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে সকাল ১০টায় মরহুমের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

মরহুম ইসহাক মিয়ার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগ্রাবাদস্থ বাদামতলী মোড়ে গুলজার কমিউনিটি সেন্টারে এক স্মরণানুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইসহাক মিয়া ব্যক্তি হিসেবে মানবিক এবং রাজনীতিক হিসেবে একটি কঠিন ইস্পাত দৃঢ় প্রতিরোধের শক্তি। দলের কঠিন দুঃসময়ে তিনি সবসময় কর্মীদের নিয়ে মাঠে থেকে সুসঙ্গত করেছেন। আদর্শিক প্রশ্নে তিনি কখনো আপস করেননি। একজন বড় মাপের নেতা হয়েও তিনি ছিলেন কর্মীবান্ধব। তাই তাঁকে স্মরণ করার মধ্য দিয়ে আমরা যারা নেতা তাদেরকে কর্মীদের অন্তর স্পর্শ করতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, সারা জাতি যখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন একটি অপশক্তি এই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দেশি বিদেশী কুচক্রীদের মাধ্যমে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই ধরনের বহু ষড়যন্ত্র অতীতে মোকাবেলা করেছে। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরাই এই ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে আওয়ামী রাজনীতির ঘরানার অভিভাবক হিসেবে মরহুম ইসহাক মিয়ার দোয়া ও আশীর্বাদ যারা পেয়েছেন তাদের মধ্যে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা কখনো পূরণ হবে না। তিনি যোগ্য নেতাকর্মীদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। কঠিন সময়ে পরামর্শ দিয়েছেন। নিজের জীবনকে অর্থ বিত্তের সমৃদ্ধ করার সুযোগ থাকার পরও সেদিকে তিনি নজর দেননি।

আ.জ.ম. নাছির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দলে বিভেদকারীদের স্থান নেই। যাদের যোগ্যতা আছে, দক্ষতা আছে এবং জনকল্যাণে যারা সম্পৃক্ত তারা অবশ্যই নেতৃত্ব অর্জনের যোগ্যতা রাখেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়া, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, থানা আওয়ামী লীগের হারুনুর রশিদ, হাজী মো. ইলিয়াছ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আব্দুল হান্নান, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, আব্দুল আজিজ মোল্লা, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মরহুমের সন্তান মো. রিদুয়ান সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, ত্রাণ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হোসেন, যুব ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, উপ প্রচার সম্পাদক শহীদুল আলম, মো. জাবেদ, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, হাজী মো. বেলাল আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি