কক্সবাজারে শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষক প্রয়োজন। তাহলে দেশের টেকসই উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য আরও বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখছে।
রোববার দুপুরে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিকৌশল (সিএইচই) বিভাগের আয়োজনে ‘ন্যানো-বায়ো অ্যান্ড অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং (এনএএমই-২০২৩)’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করে ডা. দীপু মনি বলেন, গবেষণা করতে হবে, উদ্ভাবন করতে হবে এবং সেটিকে বাণিজ্যিকীকরণে কাজে লাগাতে হবে। গবেষণা করার জন্য করলাম, এমন করা যাবে না। এ ধরনের সম্মেলন যত বেশি হবে, পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে, তত বেশি বিজ্ঞান গবেষণায় আমরা আরও সমৃদ্ধ হতে পারব। তিনি বলেন, এখন আমরা মানবিক বাংলাদেশে আছি। হয়তো উন্নত বিশে^র মতো আমাদের এখনো এতো আর্থিক সক্ষমতা হয়নি। কিন্তু আশা করি, আমরা মানবিকতাকে বজায় রেখে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে পারবো।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির উপাচার্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ন্যানো প্রযুক্তি সারা বিশে^ এখন খুবই পরিচিত প্রযুক্তি। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় এ প্রযুক্তির উপর দীর্ঘদিন কাজ করছে। আমরা দেখিয়েছি ‘ন্যানো ইজ বিউটি, ন্যানো ইজ পাওয়ার।’
জাপানের তোহোকু বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাদাহিরো কোমেদা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা খুবই পরিশ্রমী। জাপানে তাঁরা এ পরিশ্রমের পরিচয় দিয়েছে। তাঁর দেশে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক ড. জাভেদ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ দেশ-বিদেশের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষক উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষক ‘অ্যাডভান্স ম্যাটেরিয়ালস ফর এনার্জি, ফুড সেফটি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ন্যানো ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ফটোনিকস, ন্যানো-টেকনোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স, বায়ো ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ১৫২টি প্রবন্ধ ও পোস্টার উপস্থাপন করেন।
এদিকে সম্মেলনের সমাপ্তি শেষে যবিপ্রবির সাথে মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করা হয়। যবিপ্রবির পক্ষে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ও সানওয়ের পক্ষে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. সিব্রান্দেস পপ্পেমা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের হয়ে এমওইউতে সই করেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি উপস্থিত ছিলেন।