সভায় জেলা প্রশাসক
ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত নামে সরকারের যে একটি আদালত আছে সে বিষয়েই গ্রামের মানুষ জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর সার্কিট হাউসে গ্রাম আদালত আইন ও নারীবান্ধব গ্রাম আদালত সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হলেও গ্রামের জনগণের মধ্যে বিচার ব্যবস্থার হতাশা আছে। গ্রামের বিচারিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য সরকার গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে।
চট্টগ্রাম জেলা স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক বদিউল আলম এর সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরজাহান আক্তার সাথীর সঞ্চালনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক সাঈদ হাসান, আঞ্চলিক তথ্য অফিসের জ্যেষ্ঠ তথ্য অফিসার মো. আজিজুল হক নিউটন ও চট্টগ্রামের স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক বদিউল আলম।
তিনি বলেন, ন্যায় বিচারের উপর মানুষের দৃশ্যমান হতে হবে। স্বল্প সময়ে, কম খরচে ন্যায় বিচার পেলেই মনে করতে হবে দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে গ্রাম আদালত হচ্ছে সরকারের ইনোভেশন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবন-মান উন্নয়ন ও বিচারিক সেবা প্রাপ্তির অন্যতম মাধ্যম গ্রাম আদালত। সমস্যার সমাধান স্থানীয় পর্যায়ে হলে বাদি-বিবাদি উভয়ের জন্য সুবিধা বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নই টেকসই উন্নয়ন নয়। বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত ত্রুটির কারণে গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষের বিচার পেতে বিলম্ব হয়। সে ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আইনজীবী ছাড়া সালিশি ব্যবস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে গ্রাম আদালত। এসময় তিনি উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের গ্রাম আদালতের বিচারিক ব্যবস্থা মনিটরিং করারও নির্দেশ দেন। বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায় প্রকল্প) অগ্রগতি ও বাস্তবায়নের তথ্যচিত্র পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন ডিস্ট্রিক ফেসিলেটেটর (জেলা সমন্বয়কারী) উজ্জ্বল কুমার দাস চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি