অতীতে বিএনপির কোনো অর্জন নেই : হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক »
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, নির্বাচনে জনগণ কেন বিএনপিকে ভোট দেবে। তারপর দিন মির্জা ফখরুল বলেছেন আওয়ামী লীগ থেকে বাঁচার জন্য জনগণ ভোট দেবে বিএনপিকে। বিএনপির নিজের কোনো অর্জন নেই। মির্জা ফখরুল সাহেব আপনি বলতে পারেননি, আপনারা ভালো কাজ করেছেন অতীতে বা ভবিষ্যতে ভালো কাজ করবেন এ জন্য জনগণ আপনাদের ভোট দেবে। সেটি বলার সক্ষমতা হয়নি আপনাদের। অতীতে আপনাদের কোনো অর্জন ছিল না। ক্ষমতায় থাকতে হাওয়া ভবন বানিয়ে লুটপাট, সন্ত্রাস করা ছাড়া আপনাদের কোনো অর্জন নেই। সে কারণেই জনগণ আপনাদের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছে।’
গতকাল চট্টগ্রামের রিমা কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এ কথা বলেন তিনি। নগর উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি স্বপ্ন দেখে আন্দোলন করে সরকার পতন ঘটিয়ে তারা ক্ষমতায় আসবে। এটা তাদের স্বপ্ন না দুঃস্বপ্ন তা ভবিষ্যৎ বলে দেবে। তবে একটা কথা বলতে চাই, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার মতো সামর্থ্য বিএনপির নেই। কারণ জনগণ আপনাদের পাশে নেই। জনগণ আপনাদের চায় না।
হানিফ বলেন, তারেক রহমানের সন্ত্রাসের কাছে মির্জা ফখরুলরা অসহায়। আমি বিশ্বাস করি না মির্জা ফখরুলের মতো ব্যক্তি পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশ দিতে পারে। এটা আমার বিশ্বাস হয় না। তারপরও তারা করতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ তাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করলে বিএনপিতে থাকার তাদের কোনো সুযোগ নেই। যার ফলে জঘন্য রকমের কর্মকাণ্ড তারা করতে পেরেছে। আমরা সে কারণে বলি রাজনীতিতে ভালো মানুষের বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
হানিফ বলেন, শুধু বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করে এখনও সরকারি উন্নয়ন অগ্রগতিকে নিয়ে মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশের কিছু রাজনৈতিক দল। যারা ক্ষমতায় থাকতে দেশের জন্য কোনো কিছু অর্জন করতে পারেনি, দেশের জন্য কোনো অবদান রাখতে পারেনি, আজকে তারাই সরকারের সমালোচনা করছে।
মির্জা ফখরুলের প্রশংসা করে হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল একজন শিক্ষিত মানুষ। তার মধ্যে শিক্ষার আলো ছিল। যাদের মধ্যে শিক্ষার আলো নেই তারা অনেক সময় অপকর্ম করতে পারে। যেমনটি বেগম খালেদা জিয়া। তার মধ্যে শিক্ষার আলো নেই। শিক্ষার আলো নেই বলেই বেগম খালেদা জিয়া জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকীতে নিজের মিথ্যা জন্মদিনের ঘোষণা দিয়ে উল্লাস করে কেক কাটতে পেরেছেন।