দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত ৪০ হাজার মানুষ

ইমপেরিয়াল হাসপাতালে কিডনি বিভাগের বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞগণ

কিডনি রোগ মানবজাতির পঞ্চম মৃত্যুর কারণ বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামস্থ ৪০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক এবং বহুমুখী বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র ইমপেরিয়াল হাসপাতাল (আই এইচ এল) এ বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে চিকিৎসকগণ এমন মন্তব্য করেন।
প্রতি বছর মার্চের দ্বিতীয় গতকাল বৃহস্পতিবার দিবসটি পালিত হয়। ‘কিডনি রোগে সুস্থ থাকুন’ এ সেøাগানকে সামনে রেখে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে দিবসটি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দুপুর ১টায় ইমপেরিয়াল হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে কিডনি (নেফ্রোলজি) বিভাগের উদ্যোগে বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইমপেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন। কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার দত্তের সভাপতিত্বে ও একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর ডা. আরিফ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক ডা. তারেক আল নাসির সিএমও, ডা. শওকত আজাদ রেজিস্ট্রার নেফ্রোলজি, ডা. সত্যজিৎ রায় সহকারী অধ্যাপক, নেফ্রোলজি, ইউএসটিসি।
বক্তারা বলেন, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার রোগী দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বে কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বিশ্বের জনগোষ্ঠীর প্রতি ১০ জনে একজন কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতি বছর ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয় ও ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষ আকস্মিক কিডনি রোগে মারা যায়।
চিকিৎসকগণ বলেন, এ রোগে আক্রান্তদের একসময় সম্পূর্ণ কিডনি বিকল হয়ে যায়। তখন ডায়ালাইসিস বা কিডনি সংযোজন ছাড়া বাঁচার উপায় থাকে না। এ দুটো চিকিৎসা পদ্ধতিই অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অথচ বিশ্বের অনেক দেশেই মানসম্মত কিডনি রোগ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ আরো উল্লেখ করেন, কিডনি রোগের উৎপত্তি ও এর ক্রমাগত কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়া প্রায় ক্ষেত্রেই প্রাথমিক অবস্থায় রোধ করা যেতে পারে। কিডনি রোগ প্রতিরোধে তিনটি স্তরে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। প্রথম স্তরে প্রাথমিকভাবে কিডনি রোগের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর নজর দিতে হবে এবং কিডনি, মূত্রনালি, মূত্রথলি ও প্রস্রাবের রাস্তার কাঠামোগত ত্রুটির চিকিৎসা করতে হবে। কিডনি-ক্ষতিকারক কোনো ওষুধের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। দ্বিতীয় স্তর অর্থাৎ কিডনি রোগের প্রধান দুটি কারণ ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বিজ্ঞপ্তি