‘হায়দরাবাদ ড্রেসিংরুমে বর্ণবিদ্বেষের মুখে পড়েছি, ক্ষমা চাইতে হবে!’

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
ভারতে আইপিএলের বাইশ গজে নেমে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে শিরোনামে উঠে আসেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। কিন্তু কে বা কারা তাকে কটাক্ষ করতেন, তা স্পষ্ট করে বলেননি। তবে এবার সরাসরি ইঙ্গিত দিলেন। শুধু দর্শকদের মধ্যে থেকেই বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য উড়ে আসত না, বরং তার সতীর্থরাই গায়েং রং নিয়ে কটাক্ষ করতেন। তাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও-ও পোস্ট করলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
মার্কিন মুলুকে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের ‘খুনে’র ঘটনায় উত্তাল হয়েছে গোটা বিশ্ব। ঘটনার প্রতিবাদে সরব ক্রীড়া দুনিয়া। কৃষ্ণাঙ্গ ‘হত্যা’র নিন্দা করতে গিয়ে ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিস গেইল জানিয়েছিলেন, শুধু ফুটবলারই নয়, ক্রিকেটারদেরও বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়। অসহনীয় অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ডোড্ডা গণেশও। জানিয়েছিলেন, গায়ের রঙের জন্য কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে
তাকেও। সত্যিটা জানার পর ক্ষোভ উগরে দেন স্যামিও। জানিয়েছিলেন, ২০১৩-১৪ সালে আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার সময় বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন। তিনি একা নয়, শ্রীলঙ্কান তারকা থিসারা পেরেরাকেও কটাক্ষ করা হত। ‘কালু’ বলে সম্বোধন করা হত তাদের। হিন্দি ভাষায় কটাক্ষ করায় সেই শব্দের সঠিক মানে বুঝতে পারতেন না তারা। তবে দিন তিনক আগে এর অর্থ জানতে পারার পরই রেগে যান স্যামি। এবার তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করে নিজের অভিযোগ আরও জোড়াল করলেন।
নিজের এককালের সতীর্থদের উদ্দেশে ভিডিওতে স্যামি বলেন, ‘তোমরা নিশ্চয়ই ভালই বুঝতে পারছ কাদের কথা বলছি। আমাকে তোমরা কটাক্ষ করতে। আমি বুঝতে পারতাম না। বলেওছিলাম, এটা আমার নাম নয়। তারপরও বলে গিয়েছ। আমি ভেবেছি ভাল অর্থে বলেছ। কিন্তু এখন এটার মানে বুঝেছি। তাই জানতে চাই, সত্যিই কি এমন (বর্ণবিদ্বেষমূলক) মনোভাব পোষণ করো? আমি তোমাদের মেসেজ পাঠাব। এর উত্তর জানতে চাইব। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অথবা ফোন করে আমায় উত্তর দাও। যদি সত্যিই খাটো করার জন্য বলে থাকো তবে তোমাদের ক্ষমা চাইতে হবে। বলতে হবে, কেন এমনটা করেছ। বর্ণবৈষম্য নিয়ে আওয়াজ তোলাটা খুব জরুরি।’
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।