স্বাস্থ্যখাতে চসিকের আরো বরাদ্দ প্রয়োজন : মেয়র

‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যে প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্যসেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় চসিক পরিচালিত ফিরিঙ্গী বাজারস্থ ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যাটসে বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি মেডিসিন কোর্স চালু করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় আরেকটি নতুন মাত্রা যোগ হল। এই কোর্স পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ১১ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি গঠন করা হয়েছে।’
গতকাল মঙ্গলবার সকালে টাইগারপাসস্থ করপোরেশন অফিসের মেয়র দপ্তরে গভর্নিং বডির প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এই অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
গতকাল এই কমিটির সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. ইসমাইল খান এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়াসহ কমিটির সদস্যদের স্বাগতম জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি জহর লাল হাজারী, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম আকতার চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. হাসিনা নাসরিন, ডা. আইরিন সুলতানা, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং ও মেডিক্যাল টেকনোলজি অনুষদের ডিন ডা. মোহাম্মদ মনোয়ারুল হক, কমিটির সদস্য সচিব ও ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যাটসের অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ আলী, সহকারী অধ্যাপক ডা. রুমানা শারমিন ও প্রভাষক শাহনাজ আক্তার প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, করপোরেশনের উদ্যোগে ১০০ শয্যার একটি, ৫০ শয্যার তিনটি মাতৃসদন ও ৫০ শয্যার একটি জেনারেল হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ৭১টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু আছে। পাশাপাশি ১৯৯৮ সাল থেকে সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর চালু করা আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের স্বাস্থ্যসেবা এখনো চালু আছে। এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে আমাদের নিয়োগকৃত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন। এই সেবা দেশের কোন সিটি করপোরেশন দেয় না। স্বাস্থ্যখাতে এতো সেবা প্রদানের পরও করপোরেশন সরকারের কাছ থেকে নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় কোন বরাদ্দ পায় না! অথচ আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল বছরে ৭ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ পায়।
সভায় উপস্থিত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, পেশাগত কারণে আপনাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ রয়েছে। তাই আপনাদের প্রতি আহ্বান থাকবে আপনারা নগরবাসীর স্বার্থে করপোরেশনের স্বাস্থ্যখাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেতে সুপারিশ করবেন। কারণ নগরীর বর্ধিত জনসংখ্যার চিকিৎসা সেবায় সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্র বাদে একমাত্র চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রে সুলভে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ আছে।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. ইসমাইল খান বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য সুদূরপ্রসারি যে চিন্তা করেছিলেন তার অনেকদিন পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একই চিন্তা অনুভব করেছে। সুতারাং বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী চিন্তা-ভাবনা কতটা বাস্তবিক তা বর্তমান সময়ে অনুমেয়। তিনি চসিক পরিচালিত সমস্ত স্বাস্থ্যসেবায় যতটুকু সহযোগিতা করা যায় তা করবেন বলে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। বিজ্ঞপ্তি