স্পিডবোট ডুবে সাবেক ইউপি সদস্যের মৃত্যু

সেন্টমার্টিনে ঝড়ো হাওয়া ও উত্তাল ঢেউ

নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ঝড়ো হাওয়া ও উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক নারী ইউপি সদস্য ফিরোজা বেগম (৫৫) এর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ১৭ পর্যটকসহ ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।

গতকাল শুক্রবার দুপুর দেড় টার দিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের নাফ নদীর ও বঙ্গোপসাগরের মোহনার নাইক্ষ্যংদিয়ার টুরারমাথা (গোলগড়া) এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে স্পিডবোটটি তলা ফেটে ডুবে যায়।

ডাবল ইঞ্জিন চালিত এ স্পিডবোটটিতে ২২ জন যাত্রী ছিলেন। তার মধ্যে ১৭ জন পর্যটক, পাঁচজন স্থানীয় বাসিন্দা এবং দুইজন চালক ও চালকের সহকারী ছিলেন। নিহত ফিরোজা বেগম (৫৫) সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ডেইলপাড়ার বাসিন্দা আব্বাস আলীর স্ত্রী এবং ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।

এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওর্য়াডের সদস্য ও স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম।

তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরের দিকে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাট থেকে ১৭ পর্যটক ও পাঁচজন সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা এবং চালক ও চালকের সহকারীসহ ডাবল ইঞ্জিনের স্পিড বোটটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এমন সময় হঠাৎ করে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের নাফ নদীর ও বঙ্গোপসাগরের মোহনার নাইক্ষ্যংদিয়ার টুরারমাথা (গোলগড়া) এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে স্পিডবোটটি তলা ফেটে পানি ঢুকতে থাকে। এ সময় স্থানীয় কোস্টগার্ডের একটি টহল দল ও যাত্রীবাহী স্পিডবোট এগিয়ে এসে যাত্রীদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ডুবে যাওয়ার সময় ফিরোজা বেগমকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সেন্টমার্টিন ২০শয্যার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সেন্টমার্টিন ২০ শয্যার হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাঈমুর রহমান বলেন, স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ফিরোজা নামে একজন নারী মারা গেছে। আরও দুজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ডুবে যাওয়া স্পিডবোটে যাত্রী পর্যটক আরিফ উল্লাহ বলেন, টেকনাফের কায়ুকখালীয়া ঘাট থেকে ২৪ জন মানুষ নিয়ে স্পিডবোটটি সেন্টমাটিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। প্রায় আধ ঘণ্টা চালানোর পরে শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় স্পিডবোটের তলা ফেটে যায়। এ সময় চালক আব্দুল্লাহ পার্শ্ববর্তী কোস্টগার্ড ও অপর একটি স্পিডবোটের সহযোগিতা চাইলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং ডুবে যাওয়া যাত্রীদের উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

এ ব্যাপারে সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে দমকা হওয়ার কবলে পড়ে স্পিডবোটটির তলা ফেটে ডুবে যাওয়ার সময় কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় সাবেক একজন নারী ইউপি সদস্য মারা গেছেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, স্পিডবোট ডুবিতে এক নারীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।