সেলিমের সিনেমা ছাড়লেন নুসরাত, কিন্তু কেন?

সুপ্রভাত ডেস্ক »

আগস্টের শেষ সপ্তাহে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত বদলালেন নুসরাত ফারিয়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঘটা এমন ঘটনাকে দুর্ঘটনাও বলা যায়। কারণ, নির্মাতা সেলিম ও নায়িকা নুসরাত- বরাবরই যা করেন ভেবেচিন্তেই করেন।

যদিও এবার সেই চিন্তায় ছন্দপতন ঘটলো দ্রুতই। দু’জনেই জানালেন, তারা আর একসঙ্গে নেই! কারণ হিসেবে জানালেন, শিডিউল জটিলতার কথা। তবে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এই ‘নেই’-এর পেছনে ‘কিন্তু’ খুঁজছেন অনেকেই। তার আগে জানা যাক তাদের ভাষ্য।

নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু শিডিউল জটিলতার কারণেই ছবিটি ছাড়তে হলো। কারণ, পূর্ব নির্ধারিত শুটিং শিডিউল বদলেছে। একই সময়ে আমার আরেকটি শিডিউল দেওয়া আছে। তাই এমনটা হলো।’

এদিকে গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘শরিফুল রাজের দুর্ঘটনার কারণে আমরা শুটিংটা এক সপ্তাহ পেছাতে বাধ্য হলাম। দুর্ঘটনার ওপর তো কারও হাত নেই। কিন্তু সেটি পেছানোর কারণে ফারিয়া পড়ে গেল নতুন জটিলতায়। ওর কাজটি দেশের বাইরে। ফলে আমরা যৌথভাবেই চুক্তি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সেলিম জানান ‘গুনিন’-এর সবচেয়ে দরকারি চরিত্রটির নাম রাবেয়া। এই চরিত্রেই চুক্তিবদ্ধ ছিলেন নুসরাত। তাই চুক্তিভঙ্গের পর রাবেয়াকে নিয়ে ভালোই বিপাকে পড়েছেন ‘মনপুরা’ নির্মাতা। সময় হাতে মাত্র এক মাস। এদিকে নুসরাত ফারিয়ার হঠাৎ প্রস্থানের পর এই চরিত্রে অনেকেই ভাবছেন ‘স্বপ্নজাল’-খ্যাত পরীমণিকে। কারণ, চরিত্রটি তার সঙ্গেও মানানসই। তারচেয়েও বড় বিষয়, সেলিম-পরীর পুরনো রসায়ন ও সম্পর্ক।

তা-ই নয়, পরীর জেল-জীবন নিয়ে সেলিমের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অ্যাকটিভিটিও যেকোনও নির্মাতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এমনকি, সেলিম নিজেও গত মাসে বাংলা ট্রিবিউন-এর কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পরীমণিকে নিয়ে দ্রুত সময়ে কাজে ফেরার। আক্ষেপও করেছেন এই বলে, ‘এখন যে কাজটি (গুনিন) হাতে নিলাম, সেটির কাস্টিং চূড়ান্ত। তাই পরীকে নিয়ে ভাবনার সুযোগ নেই। তবে পরের কাজে অবশ্যই ভাববো পরীকে নিয়ে। ও কাজে ফিরলে আমার চেয়ে খুশি আর কেউ হবে না।’

কিন্তু এখন তো নুসরাত প্রস্থানে সেই সুযোগ ঠিকই তৈরি হলো। তাছাড়া ছবিটির শুটিং শিডিউল আরও পেছাতে হতে পারে। কারণ, শরিফুল রাজ কি এক মাসের মধ্যে ফিট হবেন! জবাবে সেলিম বলেন, ‘চিকিৎসকদের যে বার্তা পেয়েছি, তাতে রাজ এরমধ্যে ফিট হয়ে যাবে। আমরা অক্টোবরের ৭/৮ তারিখের মধ্যে কাজে নামতে পারবো। আর পরীর বিষয়টি নিয়ে যে ভাবিনি, তাও নয়। তবে সেটি একান্তই নিজের মধ্যে আছে। এখনও এ বিষয়ে প্রযোজক কিংবা পরীমণির সঙ্গে কোনও আলাপ হয়নি। রাবেয়া চরিত্রটি খুবই দরকারি। তাই তাড়াহুড়ো করতে চাই না। দেখা যাক কী হয়।’

কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ছোট গল্প ‘গুনিন’ অবলম্বনে এই ছবিটি নির্মাণ হচ্ছে। এতে আরও অভিনয় করছেন ইরেশ যাকের, মনোয়ার, আজাদ আবুল কালাম পাভেলসহ অনেকে।

জানা যায়, একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের প্রযোজনায় ছবিটি তৈরি হচ্ছে। যা প্রথমে মুক্তি পাবে প্রেক্ষাগৃহে, পরে অ্যাপে।