সকল ভূমি সেবা এখন অনলাইনে

সেবা সপ্তাহের অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক »

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ‘ভূমি নিয়ে অনেক সমস্যা ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয় এক সময় ইমেজ সংকটে ছিল। এ মন্ত্রণালয়কে ইমেজ সংকটের জায়গা থেকে বের করে আনা হয়েছে। বর্তমানে ভূমি উন্নয়ন কর, জমির নামজারিসহ সকল প্রকার ভূমি সেবা এখন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। এককথায় ভূমিসেবা এখন হাতের মুঠোয়। ভূমি মন্ত্রণালয়কে শতভাগ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের আয়োজনে ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাজনা আদায়ের একটি পরিসংখ্যান দেখিয়ে তিনি আরও বলেন, গত ১৪ এপ্রিল ২০২৩ থেকে ম্যানুয়ালি জমির খাজনা আদায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে খাজনা আদায় হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৪ শত কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৮০ শতাংশ ম্যানুয়ালি ও ২০ শতাংশ অনলাইনে মোট প্রায় ৬ শত ৪৯ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। এরপর খাজনা আদায় সম্পূর্ণ অনলাইনে চলে যায়। এক মাসে খাজনা আদায় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ শত কোটি টাকা। আশা করছি বছরে ২ হাজার কোটি টাকা খাজনা আদায় করা যাবে।

ভূমি অধিগ্রহণ এল এ শাখার কর্মকা- নিয়ে তিনি বলেন, এল এ শাখার এখনো অনেক সমস্যা আছে। দুই এক জন সমস্যার সমাধান পেলেও এখনো অনেক মানুষ হয়রানি হচ্ছে। শুধু চট্টগ্রাম না, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে যেখানে অধিগ্রহণ হচ্ছে সেখানে সমস্যা হচ্ছে।

ভূমি দখল স্বত্ত্ব আইন নিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, অনেকেই মনে করছে এই আইন আর পাস হবে না। এটি সামান্য কাজ নয়। আমি এই বিষয়ে সংসদে প্রস্তাব রাখবো। আশা করছি আমরা সফল হবো।

জামায়াত ও বিএনপিকে উদ্দেশ করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল আবার তাদের মুখেই গণতন্ত্রের কথা শুনছি। যে দলের জন্ম পেছনের দরজা দিয়ে, যাদের জন্ম ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে, যারা স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে নিয়ে দেশ শাসন করেছিল আজ তারাই বলছে গণতন্ত্রের কথা। জানি না তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা কতটুকু মানায়।

বিএনপির ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে জাবেদ বলেন, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ তে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। পরবর্তী ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তারা আবারো ক্ষমতায় আসল। তাদের শাসনামলে দেশকে লুটের দেশে পরিণত করেছিল বিশ্বের কাছে। তারা হাওয়া ভবন সৃষ্টি করছিলেন। তাদের সময়ে বাংলাদেশ পরপর দুই বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তবে তারা বুঝতে পেরেছে এখন তাদের ক্ষমতায় আসা কঠিন হয়ে গেছে। কারণ দেশে আর একটা পদ্মা সেতু, টানেল কিংবা মেট্রোরেল তো আর হবে না। তারা জনগনকে কি বলবে? বাংলাদেশে এমন জেলা উপজেলা, ইউনিয়ন নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। এ দলের হাতে দেশ নিরাপদ না হলে কারো হাতে দেশ নিরাপদ থাকবে না। আগামী সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যতই ষড়যন্ত্র হোক, বাংলাদেশের জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভয় করবে না।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল বক্তৃতা করেন।