হাতি পালেন তিনি, জড়িত দাঁতের চোরাই ব্যবসায়ও

সুপ্রভাত ডেস্ক »

চট্টগ্রামে হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়াসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নগরীর পাঁচলাইশ থানার শুলকবহর এলাকা থেকে শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নাম আব্দুল মালেক। তার বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায়। র‌্যাবের ভাষ্য, মালেক নিবন্ধনধারী হাতির পালক। কিন্তু তিনি হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রিও করেন। বন্যপ্রাণী আইনে এগুলো বিক্রি নিষিদ্ধ।

র‌্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, মালেকের হাতি পালার নিবন্ধন আছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মরিশ্যা এলাকায়। তবে তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন চট্টগ্রাম নগরীর শুলকবহর এলাকায়। সেই বাসার স্টোর রুমে লুকিয়ে হাতির চারটি পূর্ণাঙ্গ দাঁত, ছোট বড় ২০টি খ-াংশ ও একটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। খবর বিডিনিউজের।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, মালেকের ১২টি হাতির পালার অনুমোদন আছে। তবে তিনি এরচেয়ে বেশি হাতি পালেন। যেগুলো বিয়ে বাড়িতে ভাড়া এবং গাছ টানার কাজে ব্যবহার করেন।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে আমরা জেনেছি, বিভিন্ন স্থান থেকে ও পাহাড়ি এলাকায় কোন হাতি মারা গেলে মালেক সেগুলোর দাঁত সংগ্রহ করেন তার নিজস্ব লোক দিয়ে। পরে সেগুলো সিলেট পাঠিয়ে দেন।’

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত কোন হাতি মারা গেলে সেটা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানাতে হয়। পাশাপাশি ময়নাতদন্ত করিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে হয়। মৃত হাতির কোনো অঙ্গ সংরক্ষণ করলেও সেই তথ্যও সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও থানাকে দিতে হয়।

মালেকের নিবন্ধিত কোনো হাতি মারা গেছে, এমন কোনো তথ্য তিনি দেননি। আর যে দাঁত ও খ-িত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলো কোত্থেকে সংগ্রহ করেছেন সেটারও সদুত্তর দিতে পারেননি।

র‌্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আব্দুল মালেক ১৯৭৬ সালে কিশোর বয়েসে তার বাবার সঙ্গে হাতি দেখভাল করতে মৌলভীবাজার থেকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি আসেন। ১৯৯৮ সালে বাবার মৃত্যুর পর নিজেই ব্যবসার হাল ধরেন।

মালেক স্থায়ীভাবে মরিশ্যা না থেকে কিছুদিন পরপর সিলেট চলে যেতেন। পাশাপাশি চট্টগ্রামে বাসা ভাড়া নেন।