ষাড়ের প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীর ভিড়

ক্যাটেল এক্সপো

smart

নিজস্ব প্রতিবেদক »

নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতেই দেখা মিলেছে সারি সারি স্টলে দেশি বিদেশি নানা প্রজাতির শক্তিশালী আকর্ষণীয় গরু। এসব গরুর আবার দেওয়া হয়েছে নানান আকর্ষণীয় নাম। বাঁশের সাথে সাঁটানো আছে গরুর আচরণ নিয়ে নানান মজার মজার পোস্টার। দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই ক্যাটেল এক্সপো দেখতে ভিড় জমেছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। কেউ কেউ এসব গরুর সাথে নিজেকে ফ্রেমবন্দি করতে এক মুহূর্তও দেরি করছে না। ৫০ টাকা প্রবেশ মূল্যের টিকেট কেটে তারা দেখছেন গরুর স্টলে। এবারের এক্সপোতে ৩৮টি এগ্রো ফার্মের ১০০ টি মোটাতাজা গরু প্রদর্শন করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর কাজির দেউড়ির আউটার স্টেডিয়ামে বর্ণিল আয়োজনে এ ক্যাটেল এক্সপো শুরু হয়। সকালে শীতের তীব্রতা ও সূর্যের দেখা না পাওয়ায় তেমন জমে ওঠেনি এই এক্সপো। তবে দুপুর গড়াতেই শুরু হয় তরুণদের আনাগোনা। এবারের ক্যাটেল এক্সপো মেলার উদ্বোধন করেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। মেলায় আসেন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীও।

মেলায় স্বেচ্ছাসেবক ইয়াসির রাফা বলেন, ‘মেলায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে ভালো লাগছে। একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এত মানুষের সাড়া পাওয়া যাবে, তা চিন্তাও করিনি। দর্শনার্থীদের ভিড় কিংবা চাপ সামলাতে আমাদের রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে। গতবারের চেয়েও এবার মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।’

মেলায় আগত দর্শনার্থীর মধ্যে সাফিনাতুন জাহান নামের এক যুবতী বলেন, এ ধরনের ব্যতিক্রমী মেলা আর কোথাও হয় কিনা জানি না। এই মেলায় আমি প্রথম এসেছি। মেলায় আসার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। এ ধরনের মেলা নিয়মিত হলে, যারা নতুন উদ্যোক্তা আছে বা ফার্ম করার চিন্তাভাবনা করছে তারা আরো উৎসাহিত হবে।’

বোস্টন বিডি এগ্রো ফার্ম এর মালিক ফয়সাল বলেন, ‘মেলা অসাধারণ লাগছে। আমি এবার একটি গরু নিয়ে এসেছি। এটি পাকড়া গিড় প্রজাতির। এটি শুধু মেলায় না পুরো চট্টগ্রামে এই প্রজাতির গরু আর কারো কাছে আছে কিনা জানিনা। আমাদের মূল ফার্ম রাঙামাটিতে। এখানে পাহাড়তলীতে আমাদের ফার্ম রয়েছে। ফার্মে দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির গরু, ছাগল, ভেড়া ও হাঁস রয়েছে। এ ধরনের মেলা যদি নিয়মিত হয় তাহলে আমাদের যেসব শিক্ষিত বেকার রয়েছে, তাদের সংখ্যা কমে যাবে। আমাদের আর বিদেশি গরুর উপর নির্ভরশীল হতে হবে না। আমাদের দেশীয় গরু আমাদের দেশে মাংসের চাহিদা পূরণ করবে।’