শীতের দাপট জানুয়ারি জুড়ে

সুপ্রভাত ডেস্ক »
বছরের শুরুতেই শীতের যে তীব্রতা শুরু হয়েছে, তা মাস জুড়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে হিমেল বাতাস বাংলাদেশে ঢুকছে, তাতে শীতের অনুভূতি আরও বেড়ে যাচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়। এর আগে বুধবার সকাল পর্যন্ত তেঁতুলিয়াতেই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘শীতের তীব্রতা জানুয়ারিতে থাকবে, কখনো বাড়বে বা কমবে। দিনে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও রাতের পারদ ৮ থেকে ১৬ ডিগ্রি এবং দিনের তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২৬/২৭ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করবে।
সুতরাং দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা একটু কম থাকার কারণে সারাদেশেই শীতের তীব্রতা আছে এবং এই তীব্রতা জানুয়ারি মাস জুড়েই থাকবে। কারণ এটি সবচেয়ে শীতলতম মাস।’
পৌষের শেষভাগে এসে ঢাকাসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের জেলাগুলোয় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, অনেক এলাকায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া।
কালাম মল্লিক বলেন, ‘শীতের হিমেল বাতাস উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে, এই বাতাসটা একটু ঠান্ডা। ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে এই বাতাস।’
কয়েকদিন ধরে দেশের উত্তরের জেলা সৈয়দপুর, নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, পাবনার ঈশ্বরদীসহ আরও কয়েক জেলায় পারদ থাকছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের এপার-ওপার।
ঘুন কুয়াশার কারণে এসব এলাকায় দিনের মধ্যভাগেও সেভাবে সূর্যের দেখা মিলছে না। আবার সূর্য উঠলেও দিনের আলোর সেই ঠাণ্ডা কাটাতে পারছে না। বিপর্যস্ত হয়েছে এসব অঞ্চলের জনজীবন।
এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উত্তরের জেলাগুলোয় মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত; কোনো কোনো সময় বিকাল তিনটা পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়বে।
কালাম মল্লিক বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের কিরণকাল কমে গিয়ে তাপমাত্রা বাড়াতে পারে না, ফলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কম হয়। তখন শীতের তাপমাত্রা বাড়ে।’
ঘন কুয়াশার কারণে বিমান, নৌ এবং সড়ক পথে চলাচলে সমস্যা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসেও জানুয়ারিতে দেশে একটি-দুটি মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস।
দেশের বড় এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।