শীতকালীন সবজির দাম এখনো বেশি

চড়া মাছ-মাংসের দাম, স্থিতিতে ডিম

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক »

বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ পর্যান্ত থাকলেও সে অনুপাতে কমেনি দাম। অন্যান্য বছর এ সময়ে আরও কম দামে সবজি মিলত। বেড়েছে মুরগির দাম। গরু-খাসির মাংসের বাজারও চড়া।

গতকাল বৃহস্পতিবার রেয়াজউদ্দিন বাজারে দেখা যায়, সবজির পর্যাপ্ত যোগান রয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী তেমন দাম কমেনি সবজির। কেজিপ্রতি ৫০ টাকা নিচে দুয়েকটি সবজি পাওয়া গেলেও প্রায় সবজি এখনো ৬০ থেকে ৭০ টাকার উপরে। বাজারে শীতকালীন টমেটো, ফুলকপি, শীম, বেগুন ও দেশী আলু (নতুন) ও তিতকরলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। পেঁপে, মূলা, বাঁধাকপি, লাউ, পেঁয়াজপাতা, কুমড়া, কাঁচামরিচ ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকায়।

সবজিবিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, অন্যান্য বছর এসময় শীতকালীন সবজির দাম কমতির দিকে থাকে। এবছর তেমন কমছে না। যে সবজি হওয়ার কথা কেজি ২০ টাকা তা এখনো ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

অপরদিকে, পুরো সপ্তাহজুড়ে উত্তাপ সৃষ্টি করা আমদানি পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে। বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। এছাড়া, আদার কেজি ২৮০ টাকা ও রসুন বিক্রি ২২০ টাকা কেজিতে।

মাছের বাজারে দেখা যায়, মাঝারি সাইজের রুপচাঁদা, ইলিশ ও কোরাল বিক্রি হয়েছে ১ হাজার টাকার বেশি দরে। আর চাষের রুই, কাতলা, বিগ্রেড, কালবাউসের মতো কাপ জাতীয় মাছ বিক্রি হয়েছে সাইজভেদে কেজিপ্রতি ২৫০ থেকে ৩৭০ টাকা। আর পাঙাশ-তেলাপিয়া ও সিলভার কার্প ২২০-২৫০ টাকা, পাবদা-গুলশা-ট্যাংরা জাতীয় মাছ ৫৫০-৮০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা। বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা ও সোনালি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। গরু ও খাসির বাজারে দাম কমার কোন প্রভাব পড়েনি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। আর খাসির মাংস ১০৫০ থেকে ১২০০ টাকা। স্থিতিতে রয়েছে ডিমের দাম যা ডজনপ্রতি বিক্রি হয়েছে লেয়ার মুরগির ডিম (লাল) ১৩০ টাকা। আর হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম ২০০ টাকা ডজনে বিক্রি হয়েছে।

বকসির হাটে মাংস কিনতে আসা মফিজুর রহমান বলেন, আগামীকাল (শুক্রবার) পারিবারিক অনুষ্ঠান রয়েছে। সেজন্য মাংসের অর্ডার দিতে এসেছি। কিন্তু বুধবার যে মুরগি কেজি ১৭০ টাকা ছিল তা আজকে ১৮৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস এখনো কেজি ৯০০ টাকা করে বিক্রি করছেন তারা।
বকসিরহাটের মুরগি ব্যবসায়ী মো. কামাল বলেন, পাইকাররা কেজিপ্রতি ২০ টাকার বেশি মুরগির দাম বাড়িয়েছে। আমাদের করার কিছু নেই।

যোগান ভালো থাকা সত্ত্বেও গরুর মাংসের দর এখনো চড়া কেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে বকসিরহাট কাঁচাবাজারের মাংস বিক্রেতা নূর হোসেন বলেন, বাজারে গরুর সংকট রয়েছে। আমরা কর্ণফুলী ক্রসিং থেকে গরু কিনেছি। তাছাড়া গরু বিক্রেতারা সস্তায় গরু বিক্রি করছে না। ফলে সস্তায় মাংস বিক্রি করা সম্ভব না।