রোহিঙ্গা শিবিরে পৃথক ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ২

aerial, drone, landscape, LOCATION: Cox's Bazar, Bangladesh DATE: October 30, 2018 SUBJECT: Families, Family, Street Life, Cultural, Play, Sampan, Fishing Boats, Royhinga, Refugees CREW: Photographer: Ryan Donnell NY Producer: Jennifer Rupnik Local Producer: Ghazal Javed Marketing: Meredith Jacobson Local: Sesame Workshop Bangladesh (Khalil Rahman) Performers: Sayma Karim (Tuktuki); Asharaful Alam Khan (Halum); Sudip Chandra Das (Halum/righthand); Elmo (Shuvankar Das Shuvo);

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আব্দুল্লাহ এবং ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নাদির হোসেন নামে ক্যাম্পের হেড মাঝি নিহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪ টা ও ৬ টায় উপজেলার ১৭ নম্বর ক্যাম্পে সি ব্লক ও ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই হত্যাকাণ্ড দুটি ঘটে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
রোহিঙ্গাদের বরাতে (ওসি) মো. শামীম হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে একদল দুষ্কৃতকারী ৪ নম্বর মধুরছড়া ক্যাম্পের এফ ব্লকের হেড মাঝি নাদির হোসেনকে ঘর থেকে ডেকে রাস্তায় নিয়ে গিয়ে উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত ও গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। নাদির হোসেন ক্যাম্পের এফ ব্লকের হেড মাঝি (কমিউনিটি লিডার) ও মৃত সৈয়দ আহমেদের পুত্র।
অপরদিকে একই দিন ভোরে ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকে ৭/৮ জনের একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের পুত্র আব্দুল্লাহকে ঘর থেকে অস্ত্রের মুখে বের করে পাশে বাজারের রাস্তায় নিয়ে আসে। সন্ত্রাসীরা এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহকে রাস্তায় ফেলে বুকে উপুর্যপরি গুলি করে।
খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে। পুলিশ গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ আব্দুল্লাহকে ক্যাম্পের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ নিহত রোহিঙ্গা যুবক আব্দুল্লাহর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা শিবির এখন সন্ত্রাসীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত অপরাধের ঘটনা বাড়ছে। সন্ত্রাসীরা ধরা পড়লে আইনের ফাঁকে বের হয়ে যায়। যার ফলে তাদের রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
ওসি জানান, ঘটনার পর পরই উক্ত এলাকায় এপিবিএন পুলিশের পাহারা বাড়ানো হয়েছে। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রোহিঙ্গা ভিত্তিক সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ড দুটি সংঘটিত করেছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।